
যুবদল নেতা কিবরিয়া হত্যা, বেরিয়ে এলো নতুন তথ্য
রাজধানীর পল্লবীতে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়াকে সোমবার সন্ধ্যার দিকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পালানোর সময় দ্রুত রিকশা না চালানোয় দুর্বৃত্তরা রিকশাচালককেও গুলি করে। কিবরিয়া পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব ছিলেন।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, মিরপুরের পল্লবীর একটি দোকানে ঢুকে হেলমেট পরা তিন ব্যক্তি কিবরিয়াকে পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি করে। মুহূর্তেই তিনি লুটিয়ে পড়েন। গুলি করেই তারা দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
গুরুতর আহত কিবরিয়াকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে হাসপাতালের সামনে জড়ো হন যুবদল ও বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি, এটি রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে সংঘটিত হত্যা; সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারের দাবি জানান তারা।
পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডটি দলীয় কোন্দল নাকি অন্য কোনো কারণে হয়েছে, তা যাচাই করা হচ্ছে। জানা যায়, সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে সেকশন-১২ ব্লক-সি’র একটি হার্ডওয়্যার দোকানে বসেছিলেন কিবরিয়া। সে সময় মোটরসাইকেলে আসা তিন দুর্বৃত্ত দোকানে ঢুকে মাথা, বুক ও পিঠে খুব কাছ থেকে সাত রাউন্ড গুলি ছোড়ে। ঘটনাস্থল থেকে পালানোর সময় আশপাশের লোকজন একজনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসাও উদ্ধার করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এদিকে, কিবরিয়াকে গুলি করে অটোরিকশায় পালানোর সময় দ্রুত না চালানোয় রিকশাচালক আরিফকেও গুলি করা হয়। তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। পথচারী মো. পিয়ারুল ইসলাম জানান, তিনি সড়কের পাশে পড়ে থাকা আহত আরিফকে দেখতে পেয়ে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে এবং পরে ঢামেকে নিয়ে যান। আরিফ জানান, দুই হেলমেটধারী লোক তার রিকশায় উঠে দ্রুত চালাতে বলেছিল, কিন্তু ব্যাটারিতে চার্জ কম থাকায় তিনি গতি বাড়াতে পারেননি। এতে দুর্বৃত্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়।
পল্লবী থানার ওসি মো. মফিজুর রহমান জানান, আটক যুবকের মাধ্যমে বাকিদের ধরার চেষ্টা চলছে। এখনো মামলা দায়ের না হলেও নিহতের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে।
হত্যার প্রতিবাদে পল্লবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।










































