ইরানে পাকিস্তানের হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ইরান ক্রমাগত বিভিন্ন দেশে হামলা চালালেও সাম্প্রতিক ইতিহাসে দেশটিতে হামলা চালানোর সাহস কেউ করেনি। চার দশক আগে ইরাক-ইরান যুদ্ধের পর পাকিস্তানই প্রথম ইরানে হামলা করলো। ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ যখন গোটা মধ্যপ্রাচ্যকেই যুদ্ধের দিকে টেনে নিয়ে আসছে, তখনই ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে এই পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটলো।
অস্ত্র তৈরির মতো ‘এনরিচড’ ইউরেনিয়াম আছে। তারা চাইলে দুই-এক সপ্তাহের মধ্যেই এই বোমা তৈরি করতে পারে। এখন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সরকার চাইলেও ইরান আর চুক্তিতে ফিরতে রাজি নয়। দুই দেশের মধ্যে থাকা সামান্য বিশ্বাসও শেষ হয়ে গেছে। ফলে যে কোনো উস্কানি থেকেই মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুদ্ধ শুরু হতে পারে।
ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের কারণে ইরানের চারদিক থেকে মার্কিন ঘাঁটির সংখ্যা কমে গেছে। এতে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইরানের প্রভাব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন যদি যুক্তরাষ্ট্র ফিরেও আসে, তাদের আগের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী ইরানকে মোকাবিলা করতে হবে।
ইরান হামাস ও হিজবুল্লাহকে বছরের পর বছর ধরে অর্থায়ন করেছে। হুতিকে সাধারণ অস্ত্র থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক মিসাইল ও ড্রোন সরবরাহ করেছে। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে থাকা ইরানপন্থি বাহিনীগুলো ইরাক ও সিরিয়ায় একাধিক মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। ইরানের নিজের বাহিনীই ইরাক, সিরিয়া ও পাকিস্তানে হামলা চালিয়েছে। ইরানি হামলায় ইরাকে তিন মোসাদ এজেন্ট নিহত হয়েছে। সিরিয়ায় দেশটি যে মিসাইল হামলা চালিয়েছে সেখানে ১২০০ কিলোমিটার দূর থেকে নিখুঁতভাবে একটি বাড়িকে টার্গেট করা হয়েছিল। এরপর পাকিস্তানেও ইরানের মিসাইল হামলা প্রমাণ করে তারা কতটা মরিয়া হয়ে উঠেছে।
ইসরাইল ইরানের এই সক্ষমতা সম্পর্কে অবগত। তারাও তার আশপাশে থাকা ইরানপন্থি বাহিনীগুলোকে হটিয়ে দিতে মরিয়া। গাজায় ইসরাইলি বর্বরতা প্রমাণ করে তারা কতটা আতঙ্কিত। গাজার পাশাপাশি ইসরাইল লেবাননে আক্রমণ চালাবে- সেই ইঙ্গিতও পাওয়া যাচ্ছে। লেবাননের হিজবুল্লাহ যুদ্ধের উস্কানি দিয়ে চলেছে গত অক্টোবর থেকেই। লেবাননে যুদ্ধ আঞ্চলিক সংঘাতের তীব্রতা কয়েকগুণ বৃদ্ধি করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে এমন মরিয়া অবস্থা এর আগে কখনও দেখা যায়নি। সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ বলছে, মধ্যপ্রাচ্য একটি যুদ্ধের দ্বোরগোড়ায়, সব পক্ষই এরজন্য প্রস্তুত। এখন কারও একটা ভুল হিসাব প্রতিপক্ষের রেড লাইন অতিক্রম করলেই শুরু হবে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |