
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমন্তাজ ইউনিয়নে এক তরুণী ও তাঁর বৃদ্ধ বাবাকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতা তারিকুল ইসলাম ও তাঁর চাচাতো ভাই সায়মুনের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী তরুণী গলাচিপা ডিগ্রি কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ডায়না আক্তার (২৩) ও তাঁর বাবা রহিম খাঁ (৭০)। গত বুধবার দুপুরে উপজেলার চরমন্তাজ ইউনিয়নের স্লুইস বাজার এলাকায় তাঁদের মারধর করা হয়।
ডায়না আক্তার বলেন, বাবার স্লুইস বাজারে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। তিনি বাবাকে সহযোগিতা করেন। বুধবার দুপুরে স্থানীয় বিএনপির নেতা রেজাউল মাতব্বরের ছেলে সায়মুন মাতব্বর (২৩) তাঁকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেন। তার প্রতিবাদ করায় সায়মুন লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এ সময় বাবা প্রতিবাদ করলে তাঁকেও মারধর করা হয়। এরপর সায়মুনের সঙ্গে যোগ দেন চরমন্তাজ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি তারিকুল।
ডায়না আরো বলেন, কয়েক মাস আগে সায়মুন তাঁর ওপর জোরজবরদস্তি করেছিলেন। তখন স্থানীয় লোকজনের কাছে বিচার চাইলেও কোনো প্রতিকার পাননি। কারণ, সায়মুনের পরিবার প্রভাবশালী।
এদিকে ঘটনার পর স্থানীয় বিএনপির পক্ষ থেকে মামলা না করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে; বরং সালিসি মীমাংসার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, ছাত্রদল নেতা তারিকুল ইসলাম চরমন্তাজ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির মাতব্বরের ছেলে। আর সায়মুনের বাবা রেজাউল মাতব্বর স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির নেতা।
অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা তারিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সময় ডায়না তাঁর চাচিকে গালাগালি করেছিলেন। এ জন্য তিনি ও তাঁর চাচাতো ভাই সায়মুন ক্ষিপ্ত হন। তারিকুলের দাবি, ডায়না ও তাঁর বাবা হামলায় সায়মুন আহত হয়েছে। বর্তমানে সায়মুনও হাসপাতালে ভর্তি।
চরমন্তাজ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নজরুল মুন্সি বলেন, তরুণীর গায়ে হাত দিয়ে বড় ধরনের অপরাধ হয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তুষার আহম্মেদ বলেন, ‘ডায়নার শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে পুলিশি অনুমতি ছাড়া এসব বিষয়ে বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়। রহিম খাঁকে অন্য এক চিকিৎসক দেখেছেন।’
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হাওলাদার বলেন, ঘটনাটি শোনার পর ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।










































