প্রচ্ছদ আর্ন্তজাতিক মালদ্বীপে চীনা জাহাজ, ভারত কেন উদ্বিগ্ন

মালদ্বীপে চীনা জাহাজ, ভারত কেন উদ্বিগ্ন

সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লাক্ষাদ্বীপ সফর ঘিরে মালদ্বীপের মন্ত্রিদের অপমানজনক মন্তব্য এবং ভারতীয় সেনাদেরকে মালদ্বীপ ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য মালে-র দেওয়া আলটিমেটাম নিয়ে দুদেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। ভারতজুড়ে চলছে মালদ্বীপে ভ্রমণ বয়কটের ডাক।

এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ভারতের মাথা ব্যাথা বাড়িয়ে চীনের একটি গবেষণা জাহাজ মালদ্বীপের দিকে যাত্রা শুরু করেছে।

সিয়াং ইয়াং হং-০৩ নামের এই জাহাজ ভারত মহাসাগর অঞ্চলে ঢুকছে। জাহাজটির গন্তব্য মালদ্বীপের রাজধানী মালে বলে মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে জানিয়েছেন এক গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞ ড্যামিয়েন সায়মন।

জাহাজটি ভারত মহাসাগর অঞ্চলে জরিপ অভিযান চালাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর এটাই ভারতকে ভাবাচ্ছে। ভারতের এক সামরিক কর্মকর্তা সায়মনের এই বক্তব্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন এবং বলেছেন, তারা জাহাজটির গতিবিধি নজরে রাখছেন।

ভারত তাদের উপকূলের কাছের এ ধরনের জাহাজগুলোকে সমস্যাসৃষ্টিকারী হিসাবেই দেখে আসছে। এই জাহাজগুলো সামরিক জাহাজ নয়। তবে এসব জাহাজের গবেষণা সামরিক কাজে ব্যবহার হতে পারে বলে ভারত ও অন্যান্য দেশগুলো উদ্বিগ্ন।

২০১৯ সালে ভারত আরেকটি চীনা গবেষণা জাহাজ তাদের এক্সক্লুসিভ ইকোনোমিক জোন (ইইজেড) থেকে বহিষ্কার করেছিল বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করার কারণে।

ভারতের এক ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, চীনের গবেষণা জাহাজগুলো দ্বৈত ভূমিকা পালন করে। এসব জাহাজ বিস্তৃত গবেষণা করে যেসব তথ্য আহরণ করে, সেগুলো সামরিক-বেসামরিক উভয় উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। ভারত মহাসাগরে সাবমেরিন মোতায়েনেও এসব জাহাজ ভূমিকা পালন করতে পারে।

‘ভারত খেদাও’ প্রচার চালিয়ে নভেম্বরে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট পদে চীনপন্থি মোহাম্মদ মুইজ্জু আসীন হওয়ার পর থেকেই দেশটির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে।

ভারত মহাসাগরের ক্ষুদ্র দ্বীপদেশ মালদ্বীপের ওপর প্রভাব বিস্তারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ভারত এবং চীন। কিন্তু, মালদ্বীপের নতুন সরকার চীনের দিকেই ঝুঁকছে এবং ভারতকে মালদ্বীপে অবস্থানরত তাদের প্রায় ৮০ সেনাকে প্রত্যাহার করে নিতে ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে মালে।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।