আফ্রিকার দেশ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোয় প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর থেকে মাঙ্কিপক্স বা এমপক্স এই মহাদেশের মধ্য ও পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি দেশেও ছড়িয়ে পড়ছে। এর মধ্যে রয়েছে বুরুন্ডি, উগান্ডা, রুয়ান্ডা, সুইডেন, কেনিয়া ও পাকিস্তান। মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়া নিয়ে উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এ অবস্থায় পদক্ষেপ হিসেবে হটলাইন চালু ও মাঙ্কিপক্স নিয়ে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সবার কম-বেশি জানা যে, অধিকাংশ মহামারি-ই সংক্রামক। তাই বহু হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) মহামারির সংক্রমণ রোধে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। আক্রান্ত অঞ্চলে যাতায়াত নিষিদ্ধ করেছেন।
মহামারি ও সংক্রমণের সময় মুমিন যথাযথ স্বাস্থবিধি অবলম্বন করবে; পাশাপাশি ঈমান ও ইখলাসের সঙ্গে ধৈর্য ধারণ করবে- এটাই নিয়ম। তাই মহামারির ব্যাপারে মহানবী (সা.) বলেন, ‘কোথাও মহামারি দেখা দিলে এবং সেখানে তোমরা অবস্থানরত থাকলে- সে জায়গা ছেড়ে চলে এসো না। আবার কোনো এলাকায় এটা দেখা দিলে এবং সেখানে তোমরা অবস্থান না করে থাকলে, সে জায়গায় গমন করো না।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১০৬৫)
একটি বর্ণনায় দেখা গেছে, সিরিয়ায় মহামারি দেখা দিলে ওমর (রা.) তার গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সফর স্থগিত করেন। (বোখারি, হাদিস : ৫৭২৯)
তাই হাদিসের নির্দেশনা অবলম্বনের পাশাপাশি চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুসরণে অন্যজনের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ, হাত মেলানো ও কথাবার্তায় অত্যন্ত সতর্কতা জরুরি।
সংক্রমণ ও মহামারিতে সুরক্ষার জন্য রাসুল (সা.) দোয়া শিখিয়েছেন। হাদিসে তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় তিনবার বলবে ‘বিসমিল্লা-হিল্লাজি লা ইয়াদ্বুররু মাআসমিহি শাইউন ফিল আরদ্বি ওয়ালা ফিস সামা-ই, ওয়াহুয়াস সামি উল আলিম’। সকাল হওয়া পর্যন্ত তার প্রতি আকস্মিক কোনো বিপদ আসবে না। আর যে তা সকালে তিনবার বলবে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার ওপর আচমকা কোনো বিপদ আসবে না। (আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৮৮)
দোয়ার অর্থ : ‘আল্লাহর নামে যার নামের বরকতে আসমান ও জমিনের কোনো বস্তুই ক্ষতি করতে পারে না, তিনি সর্বশ্রোতা ও মহাজ্ঞানী।’
আরেকটি দোয়ায় রয়েছে, আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল বারাসি, ওয়াল জুনু-নি, ওয়াল জুজামি, ওয়া মিন সাইয়িইল আসকাম।
অর্থ : হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে কুষ্ঠরোগ, মস্তিষ্কের বিকৃতি ও সব ধরনের দুরারোগ্য থেকে মুক্তি চাচ্ছি। (আদু দাউদ, হাদিস: ৫৪৯৩)
মহানবী (সা.) মহামারিতে মারা যাওয়া ব্যক্তিকে শহীদ বলেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে তিনি বলেন, ‘পাঁচ প্রকার মৃত শহীদ মহামারীতে মৃত, পেটের পীড়ায় মৃত, পানিতে ডুবে মৃত, ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে মৃত এবং যে আল্লাহর পথে মৃত্যুবরণ করেছে।’ (বুখারি, হাদিস : ২৮২৯)
আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘মহামারির কারণে মারা যাওয়া প্রতিটি মুসলিমের জন্য শাহাদাত।’ (বোখারি, হাদিস : ২৮৩০)
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |