প্রচ্ছদ জাতীয় মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছেন যারা, পদোন্নতির পাশাপাশি থাকছে নতুন মুখের চমক

মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছেন যারা, পদোন্নতির পাশাপাশি থাকছে নতুন মুখের চমক

জাতীয়: দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নবনির্বাচিত সদস্যরা শপথ নেন আজ বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে। সংসদ ভবনের শপথকক্ষে সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে এমপিদের শপথ পড়ান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ী আওয়ামী লীগের পর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা জাতীয় পার্টি শুরুতে সিদ্ধান্তহীনতায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত তারাও শপথ নেন। এদিকে, বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তিন দিনের মাথায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে দলটি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠান হবে। গতকাল বিজয়ী সংসদ সদস্যদের মধ্যে ২৯৮ জনের গেজেট প্রকাশের বিষয়ে অনুমোদন দেয় নির্বাচন কমিশন।

ঐতিহ্যবাহী দলটির নীতিনির্ধারণী সূত্র জানিয়েছে, এবারও কেবল আওয়ামী লীগের নির্বাচিত এমপিদের নিয়েই মন্ত্রিসভা হবে। ২০০৮ ও ২০১৪ সালের মতো জাতীয় পার্টি কিংবা ১৪ দলের শরিকদের কাউকে মন্ত্রিসভায় স্থান দেয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

দলটির নীতিনির্ধারণী সূত্রগুলো বলছে, সবশেষ ৪৫ সদস্যের মন্ত্রিসভা থেকে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী বাদ পড়তে পারেন। বয়স, নানা বিতর্ক বা অদক্ষতার দায়ে তারা ঝরে পড়তে পারেন। এরমধ্যে টানা তিন মেয়াদে মন্ত্রিসভায় আছেন- এমন বর্ষীয়ান নেতাও ছিটকে যেতে পারেন। এর বাইরে সর্বশেষ মন্ত্রিসভার তিনজন সদস্য অনেকটা একতরফার নির্বাচনে নিজ আসন থেকে জিততেও পারেননি। এর আগে তিনজন দলের মনোনয়নপত্রই পাননি।

৭ জানুয়ারির নির্বাচনে যে তিনজন প্রতিমন্ত্রী পরাজিত হয়েছেন, তারা হলেন- ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য ও বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। এদিকে, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন থেকে বাদ পড়েন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এবং সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

দলটির দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, এবার মন্ত্রিসভায় একেবারে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন- এমন বেশ ক’জন নতুন মুখ থাকতে পারেন। এরমধ্যে একাধিক সাবেক আমলার নাম আলোচনায় আছে। তবে আলোচনায় এগিয়ে রয়েছেন তরুণ কয়েকজন সংসদ সদস্য।

এছাড়া বর্তমান মন্ত্রিসভায় থাকা কয়েকজন প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর পদোন্নতি হতে পারে- এমনটিও আলোচনা করছেন আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা। সর্বশেষ মন্ত্রিসভায় প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এবং কম পরিচিত অনেককে স্থান দিয়ে আলোচনার জন্ম দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারও এমন দু-একটা চমক থাকতে পারে।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বেশ কয়েকজন নেতা তিন-চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি। এবার এমন তিন-চারজনের নাম আলোচনায় আছে। এছাড়া ২০০৮ ও ২০১৪ সালের মন্ত্রিসভায় ছিলেন এমন কয়েকজনের ফিরে আসার সম্ভাবনা দেখা গেছে।

দলটির নীতিনির্ধারণী সূত্র জানিয়েছে, এবারও শুধু আওয়ামী লীগেরই মন্ত্রিসভা হবে। অর্থাৎ, ২০০৮ ও ২০১৪ সালের মতো জাতীয় পার্টি কিংবা ১৪ দলের শরিকদের কাউকে মন্ত্রিসভায় স্থান দেয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ, এমনিতে আওয়ামী লীগের বাইরে মাত্র চারটি দলের সংসদে প্রতিনিধিত্ব আছে। ফলে প্রকৃত বিরোধী দল থাকছে না- এমন সমালোচনা রয়েছে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের বাইরে থেকে আর কাউকে মন্ত্রিসভায় স্থান দিলে সংসদে কার্যকর বিরোধী দল বলে কিছুই থাকবে না।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে শপথ হওয়ার কথা রয়েছে মন্ত্রিসভার সদস্যদের। ফলে যারা মন্ত্রিসভায় স্থান পাবেন, কাল সকাল থেকে হয়তো মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে তাদের ফোন করে শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।