প্রচ্ছদ অন্যরকম ভোটার উপস্থিতির বিষয়ে ইইউ-কে আশ্বস্ত করলো আ.লীগ

ভোটার উপস্থিতির বিষয়ে ইইউ-কে আশ্বস্ত করলো আ.লীগ

আ.লীগ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি কেমন হবে, তা জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনে ভোটারদের উৎসাহ-উদ্দীপনার বিষয়টি তুলে ধরে আওয়ামী লীগ আশ্বস্ত করেছে যে, কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি সন্তোষজনক হবে।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি কার্যালয়ে ইইউ’র প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, ‘আমরা একটা কথা বলেছি যে, নির্বাচনের টার্নআউট সন্তোষজনক হবে। এ নির্বাচনে মানুষের আগ্রহ আছে।’

‘সারা বাংলাদেশে ভোটারদের মধ্যে যে স্বতঃস্ফূর্ততা লক্ষ করা যাচ্ছে, তাতে টার্নআউট নিয়ে আমাদের উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। পাঁচ বছর পর পর নির্বাচন করা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা।’

বৈঠকের আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে জানাতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কেমন হবে, কতটুকু সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে, এ ব্যাপারে সরকারের যে প্রস্তুতি, আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি প্রভৃতি নিয়ে কথা হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। স্বতন্ত্ররা শুধু দলেরই, নাকি অন্য দলের আছে, সেটিও তারা জানতে চেয়েছেন।

‘এছাড়া নির্বাচনের ফলাফল, এটা কি সবাই মেনে নেবে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কতটা প্রস্তুত, নির্বাচনবিরোধীদের অবস্থা কী, তারা মেজর কোনো প্রবলেম করতে পারবেন কি না, সেসব নিয়ে অনেক কথা হয়েছে।‘

স্বতন্ত্র প্রার্থীরা শুধু কি আওয়ামী লীগের, নাকি অন্য দলেরও আছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের আগ্রহের এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাইরের লোকও স্বতন্ত্র নির্বাচন করছে। অনেকে বিএনপি থেকে এসেও স্বতন্ত্র নির্বাচন করছে। বেশিরভাগ আওয়ামী লীগের, তবে সব স্বতন্ত্র আওয়ামী লীগের না।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধী দল কে হবে সেটিও জানতে চেয়েছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘তারা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলের বক্তব্য শুনেছেন। বাংলাদেশের বাস্তবতায় এই নির্বাচনটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা, বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। এখানে ২৭টি মতো দল অংশগ্রহণ করেছে, ১ হাজার ৮৯৬ জন প্রতিযোগিতা করছে। এসব বিষয় তারা পজিটিভলি নিয়েছে। তারা একটা বিষয় জানতে চেয়েছে, বিরোধী দল কী হবে?’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনের ফলাফল বলে দেবে, বিরোধী দল কে হবে।’

তিনি বলেন, তারা আসলে বলার চেয়ে আমাদের কথা বেশি শুনতে আগ্রহী ছিল। মন্তব্যের ব্যাপারটা তারা ওইভাবে করতে চাননি। আমরা আমাদের বক্তব্য বলেছি। নির্বাচনে আমাদের প্রস্তুতি, বিএনপি আসলো না কেন? একটা বহু আগের জানা কথা, খুব বেশি আলোচনার নয়, তারাও জানেন।

নির্বাচনে কোনো ধরনের সহিংসতা হতে পারে কি না, ইউরোপীয় ইউনিয়নের এমন আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা ভায়োলেন্সের বিষয়ে কথা বলছে। বিএনপিতে ভায়োলেন্স করছে। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে তারা ভায়োলেন্ট করতে চাচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশে খোমেনি স্টাইলে একটা বিপ্লব হবে, যেটাকে রাইড করে নেতা আসবেন বাংলাদেশে, এরকম দুঃস্বপ্ন দেখছে বিএনপি। রিমোট কন্ট্রোল লিডারের বাস্তবতা ও আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্ক নেই। মোকাবিলা করো এসে। সৎ সাহস থাকলে রাজপথে আসেন। বিদেশে বসে কেন?

বাংলাদেশের নির্বাচনের চেয়ে ইউক্রেন, গাজা, ইসরায়েল, ফিলিস্তিনি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মাথাব্যথা, এ দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাদের এখন মাথাব্যথা ইউক্রেন নিয়ে। মাথাব্যথাটা গাজা, ইসরায়েল, ফিলিস্তিন— এসব প্রসঙ্গ বিশ্ব রাজনীতিতে প্রকট। তারা বেশি মাথা ঘামাচ্ছেন ওসব নিয়ে।

‘তিন দিন আগে কঙ্গোতে একটা নির্বাচন হয়ে গেল। অনিয়ম, ইন্টারনেট বন্ধ, কারো সাথে কারো যোগাযোগ নেই। আবার কয়দিন পরে দেখব, ডেমোক্রেসি কনফারেন্স, সেখানে একটা ডেস্ক থাকবে কঙ্গোর জন্য, যেখানে ইলেকশনে এত অনিয়ম। কিন্তু আমরা ডেমোক্রেসি হতে পারলাম না।’

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।