জাতীয়: ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে। ভ্রমণ পিপাসুরা দেশ-বিদেশ ঘুরতে চাইবেন এটাই স্বাভাবিক। কমবেশি সবারই দূরে কোথাও ঘুরে আসতে ভীষণ ভালো লাগে। এ ক্ষেত্রে একদিকে যেমন প্রকৃতির খুব কাছাকাছি থাকা যায়, তেমনি বাড়ে জ্ঞানের ভান্ডারও। নিজ দেশের পাশাপাশি অনেকেই বিদেশের মাটিতে ভ্রমণ করতে চান।।
তবে সাধ বা সাধ্য কিংবা পাসপোর্ট আর ভিসার ঝক্কি-ঝামেলার কারণে অনেকেরই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বিদেশ ভ্রমণ করা হয়ে ওঠে না। যারা ভ্রমণে একেবারেই নতুন, তারাও দেশের বাইরে ঘুরে আসতে চাইলে জেনে নিতে পারেন বিশেষ কিছু তথ্য। কারণ, দেশের বাইরে ঘুরে আসতে চাইলে বাংলাদেশি পর্যটকদের অনেক দেশেই ভিসার প্রয়োজন হয় না।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা দ্য হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স পাসপোর্টগুলোর র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে। শক্তিশালী পাসপোর্টের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৯৬তম। যার ফলে বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন এদেশের নাগরিকরা। বিশ্বে ভিসামুক্ত চলাচল স্বাধীনতার ওপর গবেষণা করে এ সূচক প্রকাশ করে তারা।
সাম্প্রতিক এ সূচকের তথ্য বলছে, । এ তালিকায় ছয়টি এশিয়ার দেশ আছে। এ ছাড়া আছে আমেরিকার একটি, আফ্রিকার ১৫টি, ক্যারিবীয় ১১টি ও ওশেনিয়ার ৭টি দেশ ও অঞ্চল। এর মধ্যে কিছু দেশ ও অঞ্চলে (এক তারকা চিহ্নিত) অন অ্যারাইভাল বা বিমানবন্দরে নামার পর ভিসার সুবিধা পান বাংলাদেশিরা।
এশিয়া
ভুটান, কম্বোডিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল,শ্রীলঙ্কা, পূর্ব তিমুর।
আমেরিকা
বলিভিয়া
আফ্রিকা
বুরুন্ডি, কেপ ভার্দে, কমোরো দ্বীপপুঞ্জ, জিবুতি, গিনি-বিসাউ, লেসোথো, মাদাগাস্কার, মৌরিতানিয়া, মোজাম্বিক, রুয়ান্ডা, সেশেলস, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, গাম্বিয়া, টোগো।
ক্যারিবীয় দেশ
বাহামা, বার্বাডোস, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, ডমিনিকা, গ্রানাডা, হাইতি, জ্যামাইকা, মন্টসেরাত, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডাউন, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো।
ওশেনিয়া
কুক আইল্যান্ড, ফিজি, মাইক্রোনেশিয়া, নুউয়ে, সামোয়া, টুভালু, ভানুয়াতু।
এ ছাড়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কয়েকটি ছোট দ্বীপদেশেও যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা। এর মধ্যে কিছু দেশ ও অঞ্চলে অন অ্যারাইভাল বা বিমানবন্দরে নামার পর ভিসার সুবিধা পান বাংলাদেশিরা।
আপনার বাজেট যদি কম হয় এবং আপনি যদি ভ্রমণপিপাসু হন, তাহলে ভিসা ছাড়া ঘুরে আসতে পারবেন এসব দেশে। শুধু পাসপোর্ট থাকলেই হবে। এসব দেশ ঘুরে আসতে কোনো ভিসা লাগবে না আপনার।
এদিকে, পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়া ভ্রমণে ভিসার প্রয়োজন হবে না। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে এই নিয়ম কার্যকর করবে দেশটি। পৃথিবীর কোনো দেশেরই নাগরিকদের জন্য আফ্রিকার দেশ কেনিয়া ভ্রমণ করতে আর ভিসা লাগবে না।
কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো বলেছেন, সরকার একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে যার মাধ্যমে সবাইকে অগ্রমি একটি ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথোরাইজেশন দেওয়া হবে, ফলে কাউকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে না।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |