প্রচ্ছদ সারাদেশ ভারতে ইলিশ রপ্তানির বিষয়ে যা জানা যাচ্ছে

ভারতে ইলিশ রপ্তানির বিষয়ে যা জানা যাচ্ছে

সারাদেশ: কলকাতার জনপ্রিয় পদ্মার ইলিশ মাছ বাজারগুলোতে মিলছে না। কারণ বাংরাদেশের এই জাতীয় মাছ আর সেখানে রপ্তানি হচ্ছে না। এর প্রভাব পড়েছে পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের একাধিক রাজ্যে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, এই রপ্তানির বেশিরভাগ অংশ যেতে পশ্চিমবঙ্গে। সেখানে এই মাছ খুবই জনপ্রিয়। বিশেষ করে দুর্গা পূজার সময় এর চাহিদা থাকে তুঙ্গে

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশে ইলিশ মিললেও বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশ ভারতে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। কলকাতার মাছের আড়ৎদ্বার শঙ্কর পল জানান, ‘বাংলাদেশি ইলিশ মাছ না আসায় অস্থির হয়ে উঠেছে মাছে বাজার। অবৈধভাবে আসা এক কেজি ইলিশ আমরা ১৮০০ রুপিতে বিক্রি করছি। সামনে দাম আরও বাড়বে।’ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে ভারতে প্রচুর ইলিশ রপ্তানি হতো। আগস্ট থেকে অক্টোবর সময়ে ইলিশ পাঠানো হতো। ২০১২ সালে অন্যান্য দেশে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ থাকলেও ভারতে ঠিকই এই জনপ্রিয় মাছ পাঠাতেন শেখ হাসিনা। একে ইলিশ কূটনীতি বলেও আখ্যা দেওয়া হতো।

পশ্চিমবঙ্গের পর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে ত্রিপুরা রাজ্যে। সেখানেও দাম বেড়ে চলেছে মাছের। একজন ক্রেতা বলেন, ‘আজ আমি ১৬০০ রুপি প্রতি কেজি দিয়ে মাছ কিনেছি। আগে এর দাম কম ছিল। শুধু ইলিশ নয়, বাংলাদেশ থেকে আরও মাছ আসতো আমাদের এখানে। রপ্তান বন্ধ হওয়ায় সেসব মাছেরও দাম বেড়েছে।’ ভারতের রপ্তানি সংস্থাগুলোর ফেডারেশনের মহাপরিচালক অজয় সাহাল গত সপ্তাহে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটে আমাদের হিসেবে প্রায় ৩০ কোটি ডলারের রপ্তানি বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা প্রতিদিন বাংলাদেশে ৩ কোটি ডলারের রপ্তানি করে থাকি।’ সবমিলিয়ে বাংলাদেশে নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের এই সময়ে আগের মতো ইলিশ রপ্তানি ফের কবে স্বাভাবিক এই নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারছে না। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, বাংলাদেশের বাজারেই ইলিশের ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও প্রতিবছর হাসিনা সরকার যে বিপুল পরিমাণ ইলিশ ভারতে রপ্তানির অনুমতি দিত সেটা এবার অনেকটা শঙ্কার মুখে পড়েছে। এমনকি এবছর থেকে ভারতে আগের মতো ইলিশের রপ্তানি নাও হতে পারে।

সূত্র: The Daily Campus

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।