প্রবল বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা-ভূমিধসে বিপর্যস্ত নেপাল। দেশটিতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ২৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে এখনো অন্তত ২৮ জন। দেশটির পুলিশের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটিতে গত শুক্রবার থেকে তুমুল বৃষ্টিপাত শুরু হয়। তা থেকেই বন্যা ও ভূমিধস শুরু হয়েছে। তবে গতকাল রোববার দেশটিতে বৃষ্টির পরিমাণ কমেছে।
নেপালের পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, টানা বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ২৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেইসঙ্গে দেশজুড়ে আহত হয়েছে বহু জন এবং 28 জন এখনো নিখোঁজ।
গতকাল রাতজুড়ে ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকর্মীরা। ভুক্তভোগীরা দুইটি বাসে করে কাঠমান্ডুর দিকে যাচ্ছিল এবং পথিমধ্যে ভূমিধস হয়। এ ছাড়া গত রোববার গাড়ি থেকে আরও ২৩ জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার তল্লাশি, উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। নেপালজুড়েই নিরাপত্তা সংস্থার কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, আহতদের চিকিৎসা, খাবার ও অন্যান্য জরুরি সেবা দেওয়া হচ্ছে।
দ্য কাঠমান্ডুর পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, দেশজুড়েই অনেক রাস্তা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, রাজধানীর দিকে যাওয়া রাস্তাগুলো এখনো ব্লক হয়ে আছে। এতে করে হাজার হাজার পর্যটক আটকা পড়ে আছে।
এর আগে দেশটির পুলিশের মুখপাত্র দান বাহাদুর কার্কি বার্তাসংস্থা এএফপি’কে বলেছেন, উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে তাই নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। রোববার সকাল পর্যন্ত তিন হাজার ৩০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বা তার ও বেশি। উদ্ধার অভিযানে হেলিকপ্টার, মোটরবোর্ট ও ভেলা ব্যবহার করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, তারা কাঠমান্ডু উপত্যকায় গত ৪০-৪৫ বছরে এমন বিধ্বংসী বন্যা দেখেননি। রাজধানীর প্রধান নদী বাগমতির পানি বিপৎসীমার ওপর প্রবাহিত হচ্ছে
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |