প্রচ্ছদ জাতীয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষকের পক্ষে জামায়াতের বিবৃতি

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষকের পক্ষে জামায়াতের বিবৃতি

পাঠ্যবই নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য ও প্রকাশ্যে পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকরিচ্যুত হওয়া শিক্ষক আসিফ মাহতাবের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছে জামায়াত ইসলামী। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) জামায়াত ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এই বিবৃতিতে নিন্দা জানান।

বিবৃতিতে বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট একদলীয় সরকার নীতি-আদর্শহীন ও চরিত্র ধ্বংসকারী শিক্ষা কারিকুলাম জাতির ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের চরিত্র ধ্বংস করার গভীর ষড়যন্ত্র করছে। বাংলাদেশের ৯২ ভাগ মুসলমান এই শিক্ষা কারিকুলাম প্রত্যাখ্যান করেছে।

নৈতিকতা বিবর্জিত ও চরিত্র বিধ্বংসী শিক্ষা কারিকুলামের বিরুদ্ধে দেশের শিক্ষাবিদ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বিবৃতি দিয়ে নৈতিকতা বিবর্জিত কারিকুলাম সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছে। সরকার তার তোয়াক্কা না করে জাতির ঘাড়ে একটি অনৈতিক শিক্ষা ব্যবস্থা চাপিয়ে দিচ্ছে। এরই প্রেক্ষাপটে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ মাহতাব একজন সত্যিকারের আদর্শবান শিক্ষকের মতোই ভূমিকা পালন করেছেন। আসিফ তার বিবেকের তাড়নায় সমকামিতার বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করেছেন। এটা বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ের প্রতিধ্বনি। তার এই দৃঢ় ভূমিকার কারণে আমি তাঁকে আন্তরিকভাবে মুবারকবাদ জানাচ্ছি। ব্র‍্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে চাকুরিচ্যুত করে মূলত জাতিসত্তা বিরোধী শিক্ষা কারিকুলামের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছেন। আমি ব্র‍্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আসিফ মাহতাব যে সাহসী ও দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন, তার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে দেশের শিক্ষক সমাজ, আলেম-ওলামা, ছাত্র-অভিভাবক ও আপামর জনতাকে এগিয়ে আসতে হবে। এটি আসিফ মাহতাবের ব্যক্তিগত কোনো ইস্যু নয়। এটি একটি জাতীয় ইস্যু। জাতির ভবিষ্যত প্রজন্মকে অনৈতিক শিক্ষা দিয়ে তাদের চরিত্র ধ্বংস করে দেওয়া হবে, আর দেশের ইসলাম প্রিয় জনতা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখবে তা মনে করলে ভুল করা হবে। ’

এতে আরও বলা হয়, ‘সরকারের আত্মঘাতী শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার জন্য আমি জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশবাসী সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সেইসঙ্গে আসিফ মাহতাবকে চাকরিচ্যুত করার অন্যায় আদেশ প্রত্যাহার করে অবিলম্বে তাঁকে পুনর্বহাল করার জন্য ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। ’

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।