হেড লাইন: আদানির বিদ্যুতের বিল বকেয়া। বাংলাদেশ সরকার শোধ না করলে সরবরাহ বন্ধ করা হবে এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছে আদানি পাওয়ার। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী ও বাংলাদেশ থেকে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি গৌতম আদানি। মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে বিকল্প ব্যবস্থা। দেশের বিদ্যুৎ খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন আদানি একতরফা চুক্তির সুযোগ নিয়ে গত জুলাই থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লার বাড়তি দাম ধরে বিদ্যুৎ বিল করার পাশাপাশি বকেয়ার জন্য বাংলাদেশকে চাপ দিচ্ছে।
বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভলপমেন্ট বোর্ড (পিডিবি)-এর পক্ষ থেকে আদানিকে কয়লার চড়া দাম দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়। এরপর দাম কমাতে রাজি হয় আদানি। পায়রা ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়ে কম দামে কয়লা সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেয় তারা। তবে এক বছর পর এখন আবার ২২ শতাংশ বাড়তি দাম চাইছে তারা। বকেয়া পরিশোধ না করার এটাও কারণ।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির মধ্যে বৈঠক হয়েছে। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশের সাইডলাইনে এই বৈঠক হয়। দুই নেতার মধ্যে বৈঠকে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে জ্বালানি, বাণিজ্য ও দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। নেপালের সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে জোর দেন ড. ইউনূস। অধ্যাপক ইউনূস দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেন, নেপাল বিপুল পরিমাণ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে সমৃদ্ধ। নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করতে আগ্রহী বাংলাদেশ। আশা করা হচ্ছে আগামী মাসের মধ্যে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির ব্যাপারে কাঠমান্ডুর সঙ্গে ঢাকার চুক্তি সই হবে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে নেপাল থেকে আরও বেশি বিদ্যুৎ রপ্তানি করা সম্ভব হবে বলেও জানান দেশটির কর্মকর্তারা। বৈঠকে জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও পরিবহন উপদেষ্টা ফৌজুল কবির খান এবং সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন।
সৌদি আরবকে বাংলাদেশে আরো বেশি বিনিয়োগের পাশাপাশি জ্বালানি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত এসা ইউসুফ এসা আল দুহাইলান আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই আহ্বান জানান। রাষ্ট্রদূত আল দুহাইলান বলেন, তার দেশ বাংলাদেশে আরো বেশি বিনিয়োগে আগ্রহী। বন্দর ও লজিস্টিক খাতে বিশেষ করে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর এবং আকোয়া পাওয়ারের বিদ্যুৎ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে প্রস্তাবিত সৌদি বিনিয়োগ সহজতর করতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সমর্থন কামনা করেন তিনি। দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে অন্যান্য দেশের তুলনায় ‘অনন্য’ ও ‘আলাদা’ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা সৌদি রাষ্ট্রদূতকে বলেন, ‘এখন সৌদি আরব আমাদের সর্বোচ্চ সমর্থন দিতে পারে।’ অর্থনৈতিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে তারল্য সহায়তা বাড়াতে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অর্থ জমা দেয়ার জন্য সৌদি সরকারের কাছে তার অনুরোধ পৌঁছে দিতে সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এটি হবে ‘অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রতি একটি চমৎকার ইঙ্গিত।’
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |