জাতীয়: রাজধানীর বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে আগুনের সূত্রপাতের তথ্য পেয়েছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।
পুলিশের তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ‘চুমুক’ নামের চা-কফির দোকানের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। দুই দোকান মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান জিজ্ঞাসাবাদে এ কথা স্বীকার করেছেন। আগুন লাগার পর নেভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় দোকানের কর্মীরা।
ফায়ার সার্ভিসের সূত্রগুলোও বলছে একই কথা। তারা জানায়, চুমুক নামের দোকানটির চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত। তদন্ত কমিটি এখন পর্যন্ত ১০ জনের বেশি মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। আগামী সপ্তাহে তারা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন।
সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, সিআইডির কয়েকটি টিম এখন পর্যন্ত ১৫টির বেশি আলামত সংগ্রহ করেছে। গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুনের সূত্রপাতের সম্ভাবনাই বেশি। আলামত পরীক্ষার প্রতিবেদন পেলেই আসল কারণ জানা যাবে।
এর আগে, রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ৮ জন শিশু।
এ ঘটনায় অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগে গত ১ মার্চ রাতে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। ইতোমধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁর ম্যানেজার জয়নুদ্দিন জিসান, ওই ভবনে ‘চা চুমুক’ দোকানের দুই মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান এবং ভবন মালিকের ম্যানেজার হামিমুল হক বিপুল। আসামিরা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |