আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এখন বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বারবার হুঁশিয়ারি দিয়েই বলছে, কাউকে ছাড় দিবেন না তারা। নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার ক্ষমতায় আসবে তারাও কোনো ভুল করলে রুখে দাঁড়াবে হাসনাত-সারজিসরা।
অন্যদিকে গদিকে সুরক্ষিত রাখতে বিরোধী দলকে দমিয়ে রাখা। সেই হিসাবে নির্বাচিত সরকারের কঠোর নজরদারি থাকার কথা বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের উপর। যারা শেখ হাসিনার মত দীর্ঘ ক্ষমতাধর শাসককে মাত্র একমাসের আন্দোলনে পতন ঘটায় ও পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে তাদের বিষয়ে যেকোনো রাজনৈতিক দলই সচেতন থাকবে। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে তাদের মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন তর্জনী তুলতে পারে এমন পক্ষকে দমিয়ে রাখাই রাজনীতির অন্যতম প্রধান কৌশল।
সেই হিসাবে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসলে বিপাকে পড়তে পারেন হাসনাত-সারজিসরা। অন্তর্বতী সরকারের দায়িত্ব পালন করছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলাম। অনেকসময় তাদেরও সমালোচনা করতে দেখা গেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের। এদিকে হাসনাত-সারজিসদের নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা এসেছে। আওয়ামী লীগ শূন্য রাজনৈতিক মাঠে এই দলের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু হবে তা সন্দিহান। তবে যদি তারা গ্রহণযোগ্যতা পায় তবে বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছাড় দিবেন না। এক্ষেত্রে হাসনাত-সারজিসদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে দেখা গেছে অনেকজনকে।
অনেকের ধারণা নির্বাচিত সরকার আসলে অস্তিত্ব থাকবে না হাসনাত-সারজিসদের। নিজেদের স্বার্থে মাইনাস ফর্মুলায় যাবে ক্ষমতাসীন দলগুলো। এই ধরনের চিন্তা শুধুমাত্র গুজব বলে উড়িয়ে দেওয়াও যাচ্ছে না। সুতরাং রাজনৈতিক দল গঠন করেই হাসনাত-সারজিসরা রক্ষা পাবে এমন চিন্তা থেকে বের হয়ে আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে তাদের ভবিষ্যত নিয়ে। আসছে দিনগুলোতে বোঝা যাবে জল কোন দিকে গড়াবে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |