
চরফ্যাশনে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১১ জন আহত হয়েছে বলে দুই দলের নেতারা দাবি করেছেন। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় জিন্নাগড় ইউনিয়নের চকবাজারে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহতদের নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আসলে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে উভয় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এদিকে বিএনপি ও জামায়াত কর্মীদের মধ্যে হওয়া সংঘর্ষের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম সোহেল বলেন, যাকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত সেই জামাল ৫ আগস্টের আগে আওয়ামী লীগ করতো এখন জামায়াতে যোগ দিয়েছে, আওয়ামী লীগ কর্মী এখন জামায়াত করে এ নিয়ে আমাদের কর্মীর সাথে তার তর্ক হয়, পরে চরফ্যাশন থেকে মাইক্রোবাসে গিয়ে জামায়াত কর্মীরা বিএনপির নেতা কর্মীদের উপর হামলা করে। পৌর জামায়াতের আমীর মামুন আলম বলেন, সকাল আটটার দিকে চকবাজারে জামায়াত কর্মী গ্রাম্য ডাক্তার জামাল ফার্মেসিতে বসলে স্থানীয় কয়েকজন বিএনপি কর্মী জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে গণসংযোগ যাওয়ায় তাকে মারধর করে। আহত জামালকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে হাসপাতাল আনতে চাইলে বিএনপি’র নেতা কর্মীরা চকবাজারে আবারো আমাদের কর্মীদের উপর হামলা করে।
এই সংবাদ লিখার সময় চরফ্যাশন হাসপাতালের সামনে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নৌবাহিনীকে টহল দিতে দেখা গেছে।
চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর বাদশা বলেন, কোন পক্ষ এখনো অভিযোগ করেনি, আইনী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সূত্র : জনকন্ঠ













































