
গত ৩ নভেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কর্তৃক ঘোষিত প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা খুব দ্রুতই বড় ধরনের পরিবর্তনের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। দলীয় সূত্রমতে, বিতর্ক সৃষ্টি হওয়া এবং শরিক দলগুলোর আসন নিশ্চিত করার প্রয়োজনে কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ জন প্রার্থী এই তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারেন।
জানা গেছে, চলতি সপ্তাহেই এই তালিকা পর্যালোচনা (রিভিউ) করা হতে পারে। হাইকমান্ড এই পরিবর্তনের মাধ্যমে যেমন শরিকদের খুশি করতে চাইছে, তেমনি দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হেভিওয়েট নেতাদেরও সুযোগ দিতে চাইছে।
১. কেন এবং কতজন বাদ পড়ছেন
প্রাথমিক ঘোষিত ২৩৭ জনের তালিকায় বেশ কিছু আসনে তৃণমূল পর্যায়ে তীব্র ক্ষোভ ও বিরোধ দেখা দেওয়ায় এই পুনর্বিবেচনা জরুরি হয়ে পড়েছে।
* বাদ যাচ্ছেন: যাদের প্রার্থিতা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সেই তালিকা থেকে কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ জন বাদ পড়তে যাচ্ছেন।
শরিকদের জন্য: যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ও সমমনা দলের নেতাদের মধ্য থেকে কমপক্ষে ২০টি নাম নতুন করে তালিকায় যোগ হতে পারে।
দলীয় সংযোজন: ঘোষিত তালিকায় যেসব হেভিওয়েট সিনিয়র নেতার নাম আসেনি, তাদের মধ্য থেকে নতুন করে ১০ থেকে ১৫ জনের নাম যুক্ত করা হতে পারে।
২. যারা বাদ পড়ছেন ও যাদের যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা
বাদ পড়ার প্রধান কারণ হলো বিতর্ক, মাঠের কর্মকাণ্ডে অসঙ্গতি এবং তৃণমূলে ঐক্য সৃষ্টিতে বাধা দেওয়া। অন্যদিকে, নতুন করে যারা যুক্ত হতে পারেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন:
* প্রভাবশালী নেতা: দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কোভিদ রিজভী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান আসলাম চৌধুরী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিবুন্নবী খান সোহেল, রুমিন ফারহানা, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।
দায়িত্বশীল নেতাদের তদন্তে জানা গেছে, যদি এই পুনর্বিবেচনা করা না হয়, তবে কয়েক ডজন বঞ্চিত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন, যা দলের জন্য ক্ষতিকর হবে।
তৃণমূলের ক্ষোভ এবং সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থিতার শঙ্কা কমাতে বিএনপি এখন প্রার্থীদের মাঠের কর্মকাণ্ড গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
* পর্যবেক্ষণের বিষয়: মনোনয়ন বঞ্চিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঘোষিত প্রার্থীদের আচরণকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে দলটি।
* কঠোর সিদ্ধান্ত: তৃণমূলে ঐক্য গঠনের উদ্যোগে কেউ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
* ৬৩ আসনের বিভাজন: ফাঁকা থাকা ৬৩ আসনের সবগুলো শরিকদের জন্য রাখা হবে না; এর মধ্যে দলীয় আসনও রয়েছে বলে জানা গেছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পূর্বেই জানিয়েছিলেন, এটি একটি সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা, চূড়ান্ত কোনো তালিকা নয়। এ তালিকার যেকোনো নাম কিংবা আসন যেকোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে। সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কোভিদ রিজভীও নিশ্চিত করেছেন, হাই কমান্ড বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।











































