প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ বাদ পড়ছেন অনেক মন্ত্রী, ঠাঁই পাবে নতুন মুখ

বাদ পড়ছেন অনেক মন্ত্রী, ঠাঁই পাবে নতুন মুখ

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর আরও পাঁচ বছরের জন্য রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এতে আবারও প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন শেখ হাসিনা। নতুন এই মন্ত্রিসভায় কাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে আর কারা বাদ পড়ছেন-এ নিয়ে সরকার এবং দলের বাইরে চলছে নানা আলোচনা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার শপথ হবে।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) শপথের সময় নির্ধারণের পর সেই আলোচনার পালে আরও হাওয়া লেগেছে। আগের মন্ত্রিসভাগুলো থেকে এবারে কিছুটা ভিন্নতা থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নতুনরা যেমন যোগ হবেন, তেমনই পুরানোদের অনেকে থাকছেন না বলেও আভাস পাওয়া গেছে। তবে, বিতর্কিত কর্মকাণ্ড আর খারাপ পারফর্মেন্সের কারণে ৮ থেকে ১০ জন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বাদ পড়তে পারেন। এছাড়া আরও এক ডজন মন্ত্রীর মন্ত্রণালয় পরিবর্তন হতে পারে।

দলীয় সূত্র একটি বলছে, এবারের মন্ত্রিসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবারও নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন। এছাড়াও গুঞ্জন রয়েছে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্যদের মধ্যে কেউ-কেউ নতুন করে মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।

আরেকটি সূত্র বলছে, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বা ফরিদপুর ও শরিয়তপুর হতে অন্য নতুন মন্ত্রিসভায় যুক্ত হতে পারেন।

জানা গেছে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি ঢাকা-১৩ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। কুমিল্লা-৮ আসন থেকে নির্বাচিত আবু জাফর মোহাম্মদ শামীম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেতে পারেন। ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন।

এছাড়া, খুলনা থেকে একজন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য শ্রম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ মোহাম্মদ এবং কার্যনির্বাহীর সদস্য মোহাম্মাদ আলী আরাফাত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন। সিমিন হোসেন রিমি অথবা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন। এছাড়া নির্বাচিত হওয়া সেলেব্রিটিদের মধ্যে যুব ও ক্রীড়া বা সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।

বর্তমান সরকারের শরিকদের মধ্যে কাউকে মন্ত্রীত্ব না দেওয়া হলেও নতুন মন্ত্রিসভায় তাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। তবে এবার মন্ত্রণালয়ের আকার ছোট না হলেও বেশ কিছু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রীর দায়িত্ব পরিবর্তন হতে পারে।

কোথায় কাকে নিয়োগ দেয়া দরকার তা প্রধানমন্ত্রী নিজেই ঠিক করবেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ‘এবারের মন্ত্রিসভা কেমন হতে পারে’ এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল তাকে। জবাবে তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী অনেক জ্ঞানী মানুষ। দেশের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ওনার ঠিক করা আছে। এটা তিনি জানেন, কোথায় কাকে কখন নেয়া দরকার। এটা প্রধানমন্ত্রী নিজেই ঠিক করেন। সারা পৃথিবীতেও এটিই নিয়ম।

রবিবার সারা দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এবারও নিরঙ্কুশ জয়লাভ করে। আওয়ামী লীগ ২২২টি আসন এবং স্বতন্ত্র ৬২টি আসন, জাতীয় পার্টি ১১টি আসন, শরিকজোট দুটি আসন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি আসন পায়।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।