
বাটা—একটি পরিচিত নাম, বিশেষ করে জুতা শিল্পে। বাংলাদেশসহ বহু দেশে জনপ্রিয় এই ব্র্যান্ডের পেছনে রয়েছে এক শতাব্দীরও বেশি পুরনো একটি আন্তর্জাতিক ইতিহাস। অনেকেই মনে করেন, বাটা হয়তো বাংলাদেশি বা ভারতীয় কোনো প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আসল সত্য হলো, বাটা একটি ইউরোপীয় কোম্পানি যার উৎপত্তি চেক প্রজাতন্ত্রে।
১৮৯৪ সালে টমাস বাটা নামের এক উদ্যোগপতি চেক প্রজাতন্ত্রের (তৎকালীন অস্ট্রো-হাঙ্গেরি সাম্রাজ্য) জ্লিন শহরে এই কোম্পানির সূচনা করেন। ছোট্ট কারখানায় হাতেগোনা কর্মচারী নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও পরবর্তী সময় এটি হয়ে ওঠে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ জুতা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান।
বিশ্বব্যাপী বিস্তার লাভের অংশ হিসেবে বাটা ১৯৩১ সালে প্রথমবারের মতো ভারতবর্ষে (অর্থাৎ তখনকার বাংলাদেশ ও ভারত) প্রবেশ করে। ১৯৬২ সালে বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) বাটা কারখানা স্থাপন করে। এরপর থেকে বাটা বাংলাদেশের বাজারে জুতা শিল্পের অন্যতম প্রধান নাম হয়ে ওঠে।
বর্তমানে বাটা সুইজারল্যান্ডভিত্তিক Bata Shoe Organization-এর অংশ, যার সদর দপ্তর লোজানে অবস্থিত। ৭০টিরও বেশি দেশে বাটার কার্যক্রম রয়েছে, এবং ৫ হাজারেরও বেশি নিজস্ব আউটলেট রয়েছে বিশ্বব্যাপী। সারসংক্ষেপে বললে, বাটা একটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড যার শিকড় ইউরোপে, তবে দক্ষিণ এশিয়ায় এর গভীর প্রভাব ও জনপ্রিয়তা রয়েছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |