![রিজভী রিজভী](https://sarabanglahh.com/wp-content/uploads/2023/12/রিজভী-640x360.jpg)
বাংলাদেশে ‘একরতফা পাতানো’ নির্বাচনে ভারত মদদদাতা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘বিএনপিসহ সব দলকে বাদ দিয়ে ৭ জানুয়ারির পাতানো নির্বাচনের অন্যতম মদদদাতা হিসাবে পার্শ্ববর্তী দেশের নাম সর্বজনবিদিত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বাংলাদেশে এসে একদলীয় নির্বাচনের পক্ষে সাফাই গাইছেন। ভারতীয় কূটনীতিকরা বাংলাদেশে এসে বলেছেন, তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্থিতিশীলতা চান। বাংলাদেশের গণতন্ত্র-মানুষের অধিকার চান না। এখন তাদের থলের বিড়াল বেরোতে শুরু করেছে। সেজন্য ভারত মনোনীত প্রার্থীরা বীরদর্পে বলছেন, ‘আমাকে ভারত মনোনয়ন দিয়েছে। আমি ভারতের প্রার্থী। আমি এখানে হারার জন্য আসিনি।’
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক দুই মেয়াদের অটোপাশ সংসদ-সদস্য প্রফেসর আব্দুল মান্নান বলেছেন, তিনি ভারতের প্রার্থী। এখানে হারার জন্য আসেননি।’ তাহলে বাংলাদেশ কি পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ? তলে তলে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব কি বিকিয়ে দেওয়া হয়েছে? ভারত এখন তাদের এ দেশীয় অনুচরদের নমিনেশনও দিচ্ছে? প্রফেসর আব্দুল মান্নানের এই বক্তব্য চরম রাষ্ট্রদ্রোহিতা। অথচ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরের কথা প্রতিবাদেরও সাহস পায় না সরকার বা নির্বাচন কমিশন। সরকার স্বীকার করে নিয়েছে ভারত তাদের অনুগত বহুসংখ্যককে মনোনয়ন দিয়েছে।’
রিজভী বলেন, ‘আমরা জানতে চাই প্রফেসর আব্দুল মান্নানের মতো আর কে কে ভারতের প্রার্থী তার তালিকা প্রকাশ করা হোক। দেশের জনগণের প্রতি আমাদের আহ্বান গণতন্ত্র হত্যার জন্য ভারতের প্রার্থীদের বিজয়ী করার এই পাতানো নির্বাচনে কেউ ভোট দেবেন না। দেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে না চাইলে ভোট বর্জন করুন। তারা (আওয়ামী লীগ) নির্বাচিত হলে দেশকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়াটা অসম্ভব কিছু নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি একদলীয় ডামি নির্বাচন ঘিরে একদিকে চলছে রীতিমতো রঙ-তামাশা। অন্যদিকে নৌকা-ডামির কামড়াকামড়ি, গোলাগুলি, খুনোখুনি, সংঘাত-সহিংসতায় জনপদগুলো বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষকে জোর করে মিছিলে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। এলাকাছাড়া করার ভয় দেখানো হচ্ছে। আর নৌকার প্রচার মাইকের আওয়াজ শুনলেই লোকজন সেখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। ভোটের উৎসবের বদলে আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠা সর্বত্রই। ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে সর্বত্রই।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বিরোধী দলহীন পূর্বনির্ধারিত ফলাফলের এই নির্বাচনে ভোটারদের ন্যূনতম আগ্রহ না থাকলেও গণতান্ত্রিক বিশ্বকে তথাকথিত ভোটের উৎসব দেখানোর জন্য অত্যাচার ও নিপীড়ন থেকে তাদের রেহাই নেই। তারা দেশটাকে যুদ্ধাবস্থায় নিয়ে যেতে চায়। সারা দেশে এখন আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে নামানো হয়েছে আমি আর ডামির ভোটরঙ্গে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসির কাছে নির্বাচন গৌণ। তারা চাচ্ছেন মেরে কেটে হুমকি-ধমকি দিয়ে যে যেভাবে পারে ভোটকেন্দ্রে নাবালক-সাবালক-ভোটার-অভোটার জোগাড় করে লোকারণ্য দেখাও। এটাই গণভবনের নির্দেশ, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার উৎসবমুখর নির্বাচনি মডেল। কিন্তু ভোট নাটক যতই করেন কোনো লাভ নেই। সকলই গরল ভেল।’ সংবাদ সম্মেলনে রিজভী জানান, সোমবার দুপুর থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সারা দেশে ১৭৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই সময়ে ৪ ৩৬৫ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |