অপরাধ: চট্টগ্রাম নগরে এক পোশাকশ্রমিককে ছুরিকাঘাতে খুন করেছেন তার প্রেমিক। এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে নানার বাড়ি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনার লিচুবাগান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহত পোশাকশ্রমিকের নাম মরিয়ম আক্তার (১৮)। অভিযুক্ত যুবকের নাম মো. তারেক (২০)। সে পেশায় রাজমিস্ত্রি।
পুলিশ জানিয়েছে, বন্ধুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের সন্দেহে মরিয়ম আক্তারকে শুক্রবার রাতে নগরের পাঁচলাইশ থানার হাদু মাঝির পাড়া এলাকায় খুন করেন তারেক। মরিয়মের সঙ্গে তারেকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারেকের বাড়ি ভোলায়। তিনি নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন। খুনের শিকার মরিয়মের বাড়ি পটুয়াখালী সদরে। তিনি নগরের একটি পোশাক কারখানার কর্মী ছিলেন।
তারেক শুক্রবার রাত ৮টার দিকে মরিয়মকে কল দিয়ে দেখা করতে বলেন। দেখা করতে এলে তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। অন্য কারও সঙ্গে মরিয়মের সম্পর্ক আছে, এমন সন্দেহে ঝগড়া হয় দুজনের মধ্যে।
ছুরিকাঘাতে মরিয়মের মৃত্যু হয় জানিয়ে পুলিশ আরও জানায় , ঝগড়ার এক পর্যায়ে তারেক মরিয়মের গলায় একের পর এক ছুরিকাঘাত করেন। এরপর তিনি দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন মরিয়মকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহত মরিয়মের ভাই বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান জানান, তারেকের সঙ্গে মরিয়মের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ছয় মাস ধরে তারেকের সঙ্গে মরিয়ম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তারেক শুক্রবার রাত ৮টার দিকে মরিয়মকে কল দিয়ে দেখা করতে বলেন। দেখা করতে এলে তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। অন্য কারও সঙ্গে মরিয়মের সম্পর্ক আছে, এমন সন্দেহে ঝগড়া হয় দুজনের মধ্যে। ঝগড়ার এক পর্যায়ে তারেক মরিয়মের গলায় একের পর এক ছুরিকাঘাত করেন। এরপর তিনি দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন মরিয়মকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে তারেক পুলিশকে জানিয়েছেন, তার এক বন্ধুর সঙ্গে মরিয়মের সম্পর্ক ছিল। এজন্য মরিয়ম তার সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদ করেছে। তাই তিনি তাকে খুন করেছেন।
তবে পুলিশ এরকম কোনো কিছু এখনো খুঁজে পায়নি।
সূত্র : বিডি২৪লাইভ
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |