ভোলার চরফ্যাশনে ক্যান্সারে আক্রান্ত ফ্রান্স প্রবাসী মো. ইব্রাহিম মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার (৮ জানুয়ারি) ভোরে উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হাওলাদার বাড়ির নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি। ক্যান্সারে আক্রান্ত ফ্রান্স প্রবাসী ইব্রাহিম উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হাওলাদার বাড়ির মো. কাঞ্চন হাওলাদারের ছেলে।
জানা গেছে, ইব্রাহিম উচ্চশিক্ষার জন্য পরিবারের কাছে ফ্রান্সে যাওয়ার আবদার করেন। ৩০ লাখ টাকা ধারদেনা করে ২০২২ সালের শুরুর দিকে তাকে ফ্রান্সে পাঠানো হয়। স্বপ্ন ছিলো উচ্চশিক্ষা শেষ করে পরিবারের পাশে দাঁড়াবেন মো. ইব্রাহিম। কিন্তু তার সেই স্বপ্ন শেষ করে দিয়েছে মরণব্যাধি ক্যান্সার। ফ্রান্সে যাওয়ার ৭ মাসের মধ্যেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হন।
ফ্রান্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিজ দেশের মাটিতে বাবা-মায়ের কোলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করবেন এমন ইচ্ছা থাকলেও তাকে দেশে নিয়ে আসার মতো কেউ ছিল না। শেষ পর্যন্ত তার এ ইচ্ছা পূরণে মানবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ইব্রাহিমকে দেশে নিয়ে আসেন ফ্রান্সের চিকিৎসক ড. ম্যাথিউ জামেলট। তিনি ২০ ডিসেম্বর ইব্রাহিমকে বাংলাদেশে নিয়ে এসে তার পরিবারের কাছে দিয়ে যান। দেশে এসেও দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেন। সোমবার ভোরে মারা যান তিনি। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুড়ো এলাকায়।
ইব্রাহীমের বাবা মো. কাঞ্চন হাওলাদার বলেন, ছেলের ইচ্ছা পূরণে ধার-দেনা করে তাকে ফ্রান্সে পাঠাই। আশা ছিল ইব্রাহীম বিদেশ থেকে উচ্চশিক্ষা অর্জন করে বড় চাকরি করে ধার দেনা পরিশোধ করবে ও আমাদের পাশে দাঁড়াবে। কিন্তু আমাদের সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে। ইব্রাহীম আর বেঁচে নেই। ধার-দেনা করে কীভাবে পরিশোধ করবো তা জানি না।
মৃত্যুর আগে ইব্রাহিম জানান, তিনি ড. ম্যাথিউ জামেলটের অধীনে প্রায় এক বছর চিকিৎসা নিয়েছেন। কিন্তু দিন দিন তার শরীরের অবনতি হতে থাকে। চিকিৎসকও হাল ছেড়ে দেন। পরে বাবা-মার কোলে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করতে চাইলে আমাকে দেশে নিয়ে আসা হয়।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |