নির্ধারিত দরের চেয়ে ফরেন এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে বেশি দামে ডলার কেনায় ইসলামী ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ইতোমধ্যে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) কাছে এই বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
মূলত, বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করে। সবশেষ চলতি ডিসেম্বরে মার্কিন মুদ্রার মূল্য ধার্য করে বাফেদা ও এবিবি।
দায়িত্বশীল দুই সংস্থার ঘোষিত দাম অনুসারে, রপ্তানিকারক ও প্রবাসীদের কাছ থেকে ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সায় ডলার কিনতে পারবে দেশে কার্যরত সব তফশিলি ব্যাংক। সেই সঙ্গে আমদানিকারকদের কাছে ১১০ টাকা ২৫ পয়সায় বিক্রি করতে পারবে তারা।
ইসলামী ব্যাংকের এমডির কাছে পাঠানো চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, আপনার ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন ঘোষিত হারের চেয়ে বেশি দামে বৈদেশিক মুদ্রা কিনছে। এ নিয়ে ব্যাংকের হেড অব ট্রেজারির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছে। উনি জানিয়েছেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে কিছু বৈদেশিক মুদ্রা বেশি দামে কেনা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ইসলামী ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানকে এই ধরনের বাজারবিরোধী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করা হয়েছে। পরিপ্রেক্ষিতে কী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তা জানাননি তিনি। বরং এখনও বেশি দামে ডলার কিনছে ব্যাংকটি।
উল্লেখ্য, গত ১ থেকে ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ৫৮২ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। ব্যাংকিং খাতে যা সর্বোচ্চ।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |