সারাদেশ: প্রেমের বিয়ে না মানায় শ্বশুরকে হত্যার পরিকল্পনা করেন জামাতা। সে অনুযায়ী শ্বশুর আমের আলী ওরফে ফকির আলীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ খেতে ফেলে রাখা হয়। দুই দিন পর তাঁর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর দীর্ঘ পাঁচ বছর পর শেরপুর সদর উপজেলার ৭ নম্বর চরের এই হত্যাকাণ্ডে রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
এর আগে বুধবার (১৩ মার্চ) রাতে পিবিআই, র্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ঢাকার তুরাগ থানা এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ইমতিয়াজ আলী (২৯) নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। স্বীকারোক্তিতে তিনি জানান এই ঘটনার প্রধান আসামি নিহত ফকির আলীর জামাতা জামাতা মাসুদ।
ইমতিয়াজ আলী শেরপুর সদর উপজেলার ৭ নম্বর চর গ্রামের আক্কাছ আলীর ছেলে। গতকাল রোববার বিকেলে পিবিআইয়ের জামালপুরের তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জহুরুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
পিবিআই জানায়, ফকির আলীর মেয়েকে প্রেম করে বিয়ে করেন প্রধান আসামি ও একই এলাকার বাসিন্দা মাসুদ। কিন্তু ফকির আলী এ বিয়ে মেনে নেননি। এ জন্য মাসুদ তাঁর নিজ আত্মীয়–স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে গোপন বৈঠক করে ফকির আলীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ২০১৯ সালের ১৭ আগস্ট জামালপুরের পাতালিয়ায় কাজে যান ফকির আলী ও আসামিরা। পরবর্তীতে আসামিরা তাঁদের বাড়িতে চলে এলেও ফকির আলী আর বাড়ি ফিরে আসেননি।
এর দুই দিন পর পার্শ্ববর্তী ৬ নম্বর চর গ্রামের রিপন খানের ধৈঞ্চা খেত থেকে তাঁর গলায় গামছা প্যাঁচানো অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফকির আলীর স্ত্রী কল্পনা বেগম বাদী হয়ে ২৪ আগস্ট শেরপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কিন্তু দীর্ঘ এক বছরেও মামলার রহস্য উদ্ঘাটনে না হওয়ায় বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় পিবিআইকে। দীর্ঘদিন তদন্তশেষে পাঁচ বছর পরে এ মামলার অন্যতম আসামি ইমতিয়াজ আলীকে ঢাকার উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার এবং স্বীকারোক্তির মাধ্যমে এ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয় পিবিআই।
এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার রহস্য উদ্ঘাটনে সক্ষম হয়েছি। এরই মধ্যে আসামি ইমতিয়াজ আলীকে গ্রেপ্তার করেছি। সে আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। অন্য আসামিরাও খুব দ্রুতই গ্রেপ্তার হবে।’
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |