আর্ন্তজাতিক: প্রজনন মৌসুমে ঘুমিয়ে সময় নষ্ট করতে চায় না লোমশ ইঁদুরের মতো দেখতে খুদে প্রাণী অ্যান্টেচিনাস। মারসুপিয়াল প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় এই প্রাণীগুলো অতিরিক্ত যৌন মিলনের পর দ্রুত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। তবে স্ত্রী প্রজাতি নয় এমন করুণ এবং রহস্যময় মৃত্যুর শিকার হয় পুরুষ প্রাণীগুলো। বিজ্ঞানীরা অ্যান্টেচিনাস নামের এই প্রজাতির পুরুষগুলোকে ভয়াবহ কামুক হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
প্রকৃতি ও প্রাণীবিষয়ক সাময়িকী নেচারে বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, যৌন সম্পর্কের জন্য প্রজনন মৌসুমে প্রায় না ঘুমিয়ে থাকে পূর্ণবয়ষ্ক পুরুষ অ্যান্টেচিনাস। এরা আশপাশে থাকা স্ত্রী অ্যান্টেচিনাসগুলোর সঙ্গে বিরামহীনভাবে যৌন মিলন করতে থাকে। সঙ্গিনীকে আকর্ষণের চেষ্টা চালাতে গিয়ে তারা নিজেদের শরীরকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দেয়ার সময় পায় না। অস্ট্রেলিয়ার মেলবর্নের লা ট্রুব ইউনিভার্সিটির প্রাণী বিজ্ঞানী ইরিকা জায়েদ জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলে বসবাসরত পুরুষ অ্যান্টেচিনাস এক বছরের কম সময় বাঁচে। স্ত্রী অ্যান্টেচিনাস বাঁচে এক বছরের বেশি সময়কাল। এই অল্প সময়ে স্ত্রীটি মাত্র একটি বাচ্চার জন্ম দেয়।
প্রতিবছর আগস্টের তিন সপ্তাহ প্রতিটি স্ত্রী অ্যান্টেচিনাসের সঙ্গে মিলনের জন্যে বেপরোয়া হয়ে থাকে পুরুষ অ্যান্টেচিনাস। এসময় তাদের ঘুমের সময় অর্ধেকে নেমে আসে। তবে স্ত্রী অ্যান্টেচিনাসের ক্ষেত্রে তা হয় না। তারা বছরের অন্যন্য মাসের মতোই ঘুমিয়ে থাকতে পছন্দ করে। মাত্রাতিরিক্ত মিলনের পর ১০টি পুরুষ অ্যান্টেচিনাসের মধ্যে দুটোর মৃত্যু হয়েছে। অন্য ৮টি যৌন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তবে অতিরিক্ত যৌনমিলন নাকি অন্য কারণে পুরুষ অ্যান্টিচিনাসের মৃত্যু হয় তা এখনও স্পষ্ট করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। এ অবস্থায় ইতোমধ্যে বিপন্ন ঘোষিত এ প্রজাতির টিকে থাকা ভয়াবহ হুমকির মুখে পড়ে গেছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |