বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই চাপের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত শিল্পীরা। এমনকি সামাজিকমাধ্যমেও কটাক্ষের মুখে পড়ছেন অনেকেই। বিগত সরকার সমর্থকদের অনেকেই দেশ ছেড়েছেন। গা ঢাকা দিয়েছেন অনেকে শিল্পী। আবার প্রকাশ্যে এসে কাজে ফিরতেও ভয় পাচ্ছেন।
অভিনেত্রী রিমু রোজা খন্দকার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের শুরু থেকে ছাত্রদের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব ছিলেন। বিভিন্ন সময় নানা ইস্যুতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। সেই ধাবাহিকতায় শিল্পীদের প্রকাশ্যে রাজনীতি করা নিজে মুখ খুললেন এই অভিনেত্রী।
এই অভিনেত্রী মনে করেন, শিল্পীদের প্রকাশ্যে রাজনীতিতে অংশ নেয়া উচিত না। যদি তারা প্রকাশ্যে রাজনীতি না করতেন, তাহলে আজ তাদের এমন শোচনীয় অবস্থা হতো না।
রিমু রোজা বলেন, পাপকে ঘৃণা করো, পাপী কে নয়। আর কোন শিল্পীদের প্রকাশ্য রাজনীতি করাও উচিত নয়। মানুষ হিসেবে যে দলের সমর্থনই করেন না কেন ভালো কে ভালো আর মন্দ কে মন্দ বলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিগত ১৫ বছর অনেক শিল্পী আওয়ামী লীগের সুবিধা নিয়েছে।
তাদের ত্যাগ করা উচিত। কিন্তু সবাই দোষ করেনি কিংবা সুবিধা নেয়নি। যারা বিগত দিনে খারাপ করেছে তাদের ত্যাগ করা উচিত। আগামীতে যদি কেউ রাজনীতি করে তবে সেটা তাদের মনে থাকুক।
নিজের উদাহরণ টেনে রিমু রোজা খন্দকার বলেন, ছাত্র আন্দোলনের সময় আমি ফেসবুকে পোস্ট করায় আমাকে অনেক থ্রেড করা হয়েছে। কিন্তু আমি থেমে ছিলাম না। আমি ছাত্রদের পক্ষে ছিলাম। শিল্পী হিসেবে অনেকে যে ভুল করেছে সেটা থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |