প্রচ্ছদ হেড লাইন পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে গিয়ে দুবাইতে প্রবাসীর মৃত্যু

পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে গিয়ে দুবাইতে প্রবাসীর মৃত্যু

সারাবাংলা: দুবাইয়ে পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে বহুতল ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে সৌরভ মাঝি (২৩) নামে এক বাংলাদেশী যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে মৃতের পরিবার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। এর আগে গত রোববার ভোর রাতে দুবাইয়ের রোলা শহরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত সৌরভ মাঝি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার নশাসন ইউনিয়নের মাঝিকান্দি এলাকার সায়েদ মাঝির ছেলে।

স্থানীয় ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২ বছর আগে জীবিকার তাগিদে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী দুবাই যান সৌরভ মাঝি। এরপর তিনি শারজাহ শহরে রঙ মিস্ত্রীর কাজ করতেন। কয়েকদিন আগে রঙ মিস্ত্রির কাজ ছেড়ে দিয়ে সেখান থেকে রোলা শহরে পালিয়ে চলে যান তিনি। এরপর গত রোববার রাতে সৌরভ ও তার দুই বন্ধু রোলা শহরের একটি ভবনে অবস্থান করছিলেন।

এসময় ভবনটিতে পুলিশ অভিযান করলে পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে ভবন থেকে পাশের একটি ভবনে লাফ দিয়ে পালাতে গিয়ে সৌরভ নিচে পড়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। সৌরভের মৃত্যুর খবর মঙ্গলবার বাংলাদেশে তার পরিবারের কাছে আসে।

মৃতের ফুফাতো ভাই জামিল আহসান শুভ বলেন, আমরা সৌরভের মামা গিয়াসউদ্দিন শিকদারের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। ওর এখনো দুই মাসের ভিসা রয়েছে। পুলিশ আসার খবরে ঘাবড়ে গিয়ে ভবন থেকে পালাতে গিয়ে লাফ দিয়েছিল সৌরভ। পরে নিচে পড়ে সে মারা যায়। ওর এমন মৃত্যু মেনে নেওয়ার মতো না।

মৃত সৌরভের বাবা সায়েদ মাঝি বলেন, এভাবে ছেলের মৃত্যু মেনে নিতে পারছি না। অন্তত শেষবারের মতো ছেলের মুখ দেখতে চাই। সরকার থেকে যেন আমার ছেলের মরদেহটি দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করে দেয়।

নশাসন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শাহিন ফকির ঢাকা পোস্টকে বলেন, সৌরভের এক আত্মীয়ের মাধ্যমে মৃত্যুর খবর পেয়েছি। আমাদের পক্ষ থেকে মরদেহটি দেশে আনার চেষ্টা চলছে।

নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, নিহতের পরিবার থেকে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আমাদের জানানো হয়নি। তবে কাগজপত্রসহ নিহতের পরিবার আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে সহযোগিতা করবে প্রশাসন।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।