প্রচ্ছদ আর্ন্তজাতিক পাকিস্তানে ১৯ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভায় কে কোন দায়িত্বে

পাকিস্তানে ১৯ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভায় কে কোন দায়িত্বে

পাকিস্তানে নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করা হয়েছে। এবার মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন ১৯ জন। এর মধ্যে ১৮ জন পূর্ণমন্ত্রী আর মাত্র ১ জন প্রতিমন্ত্রী। কয়েকজন অভিজ্ঞ রাজনীতিক যারা এর আগেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পালন করেছেন।

নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার এক সপ্তাহের মাথায় নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন শাহবাজ শরিফ। সোমবার (১১ মার্চ) রাজধানী ইসলামাবাদে প্রেসিডেন্ট হাউসে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ পড়ান পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদন মতে, সোমবার দিনের শুরুতে নতুন মন্ত্রিসভা নিয়ে প্রেসিডেন্ট জারদারিকে একটি নোট পাঠান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ। ওই নোটে বলা হয়, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে ১২ জন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি বা জাতীয় পরিষদের সদস্য (এমএনএ) আর ৩ জন উচ্চকক্ষ সিনেটের সদস্য।

এছাড়া টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিসভায় রয়েছেন মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব, মহসিন নাকভি ও আহাদ চিমা। মন্ত্রিসভার একমাত্র প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে শাহজা ফাতিমা খাজাকে। তিনি মন্ত্রিসভার একমাত্র নারী সদস্য।

শপথ অনুষ্ঠানের পর পাকিস্তানের তথ্য মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের নাম ও দফতর জানিয়েছে। মন্ত্রিসভায় খাজা মুহাম্মদ আসিফকে প্রতিরক্ষা, প্রতিরক্ষা উৎপাদন ও বিমান চলাচল বিষয়ক মন্ত্রী করা হয়েছে।

মোহাম্মদ ইসহাক দারকে দেয়া হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। এছাড়া মুহাম্মদ আওরঙ্গজেবকে অর্থ ও রাজস্ব ও মহসিন নাকভিকে স্বরাষ্ট্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আহসান ইকবালকে করা হয়েছে পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও বিশেষ উদ্যোগ বিষয়ক মন্ত্রী।

পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) বাইরে রেখেই গত মাসে (৮ ফেব্রুয়ারি) সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মূলত পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ও প্রাদেশিক সরকার গঠনে ভোটগ্রহণ করা হয়।

ব্যাপক সহিংসতা ও ফল কারচুপির পরও নির্বাচনে অন্য দলগুলোর চেয়ে বেশি আসন পায় পিটিআই সমর্থিত প্রার্থী। তবে সরকার গঠনের প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয় দলটি।

পিটিআই’র মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয় পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপল’স পার্টি (পিপিপি)ও। ফলে জোট সরকার গঠন অপরিহার্য হয়ে ওঠে।

বেশি আসন পেয়েও সরকার গঠন করতে পারেনি পিটিআই। কারণ দলটির নেতা ইমরান খান পিএমএল-এন বা পিপিপির সাথে জোট গড়তে অস্বীকৃতি জানান।

সেই সুযোগে তরুণ রাজনীতিক বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপি ও ছোট ছোট আরও কয়েকটি দলের সাথে মিলে জোট সরকার গঠন করে নওয়াজ শরিফ ও শাহবাজ শরিফদের দল পিএমএল-এন।

গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন পিএমএল-এন সভাপতি শাহবাজ শরিফ। জোট সরকারকে সমর্থন করলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অংশ নেয়নি পিপিপি। তবে জোট সরকারে সমর্থনের বিনিময়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন দলটির নেতা আসিফ আলি জারদারি।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।