মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে একটি ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের তিন দিনের মাথায় রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরকীয়া সম্পর্ক থাকার পরও অন্যদের সঙ্গে দেহ ব্যবসার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রেমিকা লায়লা বেগমকে অন্যদের সহযোগিতায় ধর্ষণের পর হত্যা করে প্রেমিক দেলোয়ার হোসেন।
এ ঘটনায় গত ১১ মে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- পরকীয়া প্রেমিক দেলোয়ার হোসেন ও তার সহযোগী আব্দুর রাজ্জাক।
পিবিআই সূত্রে জানা যায়, দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে লায়লা বেগমের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। দেলোয়ার প্রেমিকা লায়লাকে সংসারের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়ে সহযোগিতা ছাড়াও সেলাই মেশিন ও নগদ ৫০ হাজার টাকাও দিয়েছিলেন। কিন্তু লায়লা পরকীয়া সম্পর্কে থাকার পরও দেহ ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে যান। এতে পরকীয়া প্রেমিক দেলোয়ার হোসেন ক্ষুব্ধ হয়ে গত ৯ মে রাতে দৌলতপুর উপজেলা নারচি গ্রামে একটি ফসলের মাঠে অন্য সহযোগীদের নিয়ে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন।
ঘটনার পরদিন ১০ মে মরদেহ শনাক্ত করেন লায়লার স্বামী সিকান্দার আলী। এ ঘটনায় ওইদিনই দৌলতপুর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন। মামলাটি নিয়ে পিবিআই ছায়া তদন্ত শুরু করে। ছায়া তদন্তে পিবিআই মানিকগঞ্জ টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন, স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ এবং স্বামী সিকান্দার আলীর চলাফেরা ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে তদন্তকার্য অব্যাহত রাখে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিহত লায়লা বেগমের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রেমিক দেলোয়ার হোসেন ও আব্দুর রাজ্জাক সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই। এরপর ১১ মে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই-এর উপপুলিশ পরিদর্শক মো. নাহিদ হাসান জানান, আসামি দেলোয়ার হোসেন ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। রোববার (১২ মে) তারা আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১০ মে) সকালে উপজেলার খলসী-ঘিওর সড়কের পাশে একটি ধানক্ষেতে ওই নারীর মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় মরদেহের পাশে পড়ে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে তার পরিচয় জানতে পারে পুলিশ।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |