হেড লাইন: ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় বিএনপি। এরপর মাঝে একদিন অবরোধ পালন করে টানা গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে দলটি। জানা গেছে, ভোটের আগে আজ (রোববার) ও ১ জানুয়ারি গণসংযোগের শেষ কর্মসূচি হতে পারে। এরপর ফের অবরোধ বা হরতাল কর্মসূচি দেওয়ার চিন্তা করছে বিএনপি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, নির্বাচন ঘিরে দুই রকম কর্মসূচির চিন্তা করছে বিএনপি। প্রথমত, ২ জানুয়ারি থেকে নির্বাচনের পরদিন ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা হরতাল বা অবরোধের কর্মসূচি আসতে পারে। অথবা মাঝে দুই দিনের বিরতি দিয়ে প্রথমে অবরোধ এবং পরে হরতালের কর্মসূচি দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, কোনোটিই এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এদিকে, ভোট বর্জনে জনমত গড়ার লক্ষ্যে এ পর্যন্ত দেশের সব সাংগঠনিক ইউনিট থেকে ৫০ লাখের বেশি প্রচারপত্র বিলি করা করেছে বিএনপি। এসব গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণের কর্মসূচিতে দলটি ভালো সাড়া পেয়েছে বলে জানিয়েছে দলটির দায়িত্বশীল সূত্র।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ পণ্ড ও নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এবং সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ২৯ অক্টোবর সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় বিএনপি। এরপর থেকে দফায় দফায় হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করে দলটি। কিন্তু গত ২০ ডিসেম্বর নির্বাচন বর্জনসহ ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয়।
সে সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভোটগ্রহণে নিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে বিরত থাকার আহ্বান জানান। ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা কেউ ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। নির্বাচনে কারা এমপি হবেন সেই তালিকা তৈরি হয়ে গেছে। বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ করছি। ব্যাংক খাতের মাধ্যমে সরকার সবচেয়ে বেশি অর্থ লুটপাট করেছে। ফলে ব্যাংকে টাকা জমা রাখা নিরাপদ কিনা সেটি ভাবুন। এর পাশাপাশি মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় অভিযুক্ত ‘লক্ষ লক্ষ রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে’ আদালতে হাজিরা দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বানও জানান রিজভী।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |