
‘আমাদের কাছে কিছু কল রেকর্ডও আছে। যেখানে বলা হয়েছে যদি ইলেকশন (ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচন) করেন ৬ মাস পরে পরিণতি দেখে নিব। ইঙ্গিতটা হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার পর আপনাকে দেখে নিব যদি নির্বাচন করেন।’এমনটি বলেছেন- অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। বিসিবির নির্বাচনে সরকারের হস্তক্ষেপ এবং নির্বাচন ফিক্সিং করার অভিযোগ জানিয়েছেন তামিম।
তামিমের নির্বাচন নিয়ে ফিক্সিংয়ের অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
যমুনা টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উপদেষ্টা আসিফ বলেছেন, ‘ফিক্সিংটা তামিম ভাইরাই করার চেষ্টা করেছেন, করতে ব্যর্থ হয়েছেন। বিএনপির সভাপতি, সেক্রেটারিদের উনাদের পক্ষ থেকে কল দিয়ে বলা হয়েছে কাউন্সিলরদের, ডিসিদেরকেও ধমক দেওয়া হয়েছে। অনেক কিছু করা হয়েছে। ইলেকশন ফিক্স করতে উনারা ব্যর্থ হয়েছেন।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমাদের কাছে কিছু কল রেকর্ডও আছে। যেখানে বলা হয়েছে যদি ইলেকশন করেন ৬ মাস পরে পরিণতি দেখে নিব। ইঙ্গিতটা হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার পর আপনাকে দেখে নিব যদি নির্বাচন করেন। ভোরেও কয়েকজনের সাথে কথা হয়েছে। (আমিনুল ইসলাম) বুলবুল ভাইয়ের সাথে কথা বলা, তারা কোন কমিটিতে ফিট করবেন এসব নিয়ে কথা হচ্ছিল। এরকম সংগঠকরাও যখন (মনোনয়নপত্র) উইথড্র করলো, আমি একটু অবাক হলাম।’
আসিফ বলেছেন, ‘পাপন ভাইয়ের সময় কারা আসত? আওয়ামী লীগের সভাপতি, নেতারা, নেতাদের ছেলেরা আসত। যার আসলে ক্রীড়া সংস্থার সাথে সম্পর্ক নেই। আমরা ক্রীড়া সংস্থার সাথে সম্পৃক্তদের নিয়ে আসছি। (আবদুর) রাজ্জাক রাজ ভাইয়ের সাথে দেখা হয়েছেই ১ বছর আগে বিসিবিতে যখন কাজ করেন।’
১৫ ক্লাবের নির্বাচনে থাকা না থাকা নিয়ে আসিফ বলেছেন, ‘ভোট কারচুপির জন্য অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ক্লাব নিয়ে এসে ভোট যদি দখল করেন বা বাকিদের সুযোগ সীমিত করে দেন, তাহলে যে কেউ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। ফারুক আহমেদ হয়েছেন এবং সেই রায় পেয়েছেন। যদিও চূড়ান্ত রায় নয়। এখন আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতেই এই ক্লাবগুলো বাতিল। এখানে নির্বাচন কমিশন, বোর্ড বা আমাদের কিছু করার নেই।’
আসিফ বলেছেন, ‘আমার মনে হয় বিভাজনের সূত্রপাত সেখানেই শুরু। যাদের নিয়ে আসলেন সবাইকে ম্যানেজ করা গেল না। সংগঠকরা ভালোভাবে নিলেন না। অনেকের সাথে এই ব্যাপারে বাদানুবাদ, হিটেড পরিস্থিতির কারণে শেষমেশ বিষয়টা কার্যকর হতে পারেনি। জানামতে ক্লাব ক্যাটাগরিতে ৩ গ্রুপ ছিল। ৩ গ্রুপকেই কিছু ছাড় দিয়ে কমন গ্রাউন্ডে আসা। অই কমন গ্রাউন্ড এগ্রিড হয়নি, কমিটমেন্ট রাখা হয়নি। সে কারণে বিষয়টি ক্যারি অন হয়নি।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে শেষে আসিফ বলেছেন, ‘চ্যালেঞ্জ করতে পারি যে কাউকে। আমি হেড টু হেডে বসতে রাজি আছি। সকল কাগজপত্র নিয়ে।’
সূত্র: যুগান্তর













































