রাজনৈতিক : বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেছেন, আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দিতে না এসে ঘরে ছিলেন। এটাই দলের বড় সফলতা। সোমবার (৮ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।।
কায়সার কামাল বলেন, এটি তথাকথিত নির্বাচন। সাধারণত, এদিন জাতি যা প্রত্যক্ষ করেছে, সেটা হলো এটা ছিল আওয়ামী লীগের একটি সম্মেলন। যেখানে রাষ্ট্রের ৩ হাজার কোটি টাকা অপচয় হয়েছে। কিন্তু এটার দরকার ছিল না। একটা ফরমান জারি করলেই হতো। নির্বাচনে মোট ৩ হাজার প্রার্থী ছিলেন। তবে ভোটার ছিলেন একজন। তিনিই ভোট দিয়ে ৩০০ জনকে নির্বাচিত করেছেন। এটা প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে এমন দৃষ্টান্ত কখনও দেখা যায়নি। এমনকি উপমহাদেশেও তা পরিলক্ষিত হয়নি। যেমন-এখন সরকারি, বিরোধী ও স্বতন্ত্র দলও তার। ফলে প্রশ্নটা হচ্ছে- এবার বিরোধী দল হবে কারা। কারণ, স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন ৬২ জন। তাদের গৃহপালিত দল পেয়েছে ১১টি আসন। আর ক্ষমতাসীনরা পেয়েছে ২২৫টি।
বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক বলেন, এটা রাজনীতির জন্য ভয়াবহ। ভূমিকম্পের চেয়েও খারাপ। ৭ জানুয়ারি সবকিছু জলাঞ্জলি হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়, যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি; তাদের আত্মাও কষ্ট পাচ্ছে। কারণ, এই নির্বাচনে ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে কিনা-সন্দেহ। বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) ক্ষমতা নবায়নের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে।
পরবর্তী করণীয় নিয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। দলের চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে। এটা অব্যাহত থাকবে। পরিস্থিতি দেখে নতুন কর্মসূচি আসতে পারে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |