টারজান’ খ্যাত জনপ্রিয় অভিনেতা রন এলি মারা গেছেন। ক্যালিফোর্নিয়ায় নিজ বাড়িতে গত ২৯ সেপ্টেম্বর মারা যান ৮৬ বছর বয়সী এই অভিনেতা। নিউ ইয়র্ক টাইমস থেকে জানা যায়, রনের মেয়ে ক্রিশ্চেন কাসালে এলি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে বিষয়টি জানান। ইনস্টাগ্রামে এই অভিনেতার মৃত্যুর ঘোষণা দিয়ে তার মেয়ে লিখেছেন, আমার বাবা ছিলেন এমন একজন, যাকে মানুষ হিরো বলত। তিনি ছিলেন একাধারে অভিনেতা, লেখক, প্রশিক্ষক, মেন্টর, পরিবার অন্তঃপ্রাণ মানুষ এবং নেতা।
রন এলির জন্ম ১৯৩৮ সালে, টেক্সাসে। ১৯৬০-এর দশকের গোড়ার দিকে সিটকম ‘ফাদার নোজ বেস্ট’, ‘হাউ টু ম্যারি আ মিলিয়নেয়ার’ ও ‘দ্য মেনি লাভস অব ডোবি গিলিস’-এর মতো জনপ্রিয় টিভি শোগুলোতে অভিনয় করেন রন। এরপর ১৯৬৬ সালে ‘টারজান’-এ প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান এই অভিনেতা। দর্শকের কাছে রন মূলত টারজান নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন।
১৯৬৬ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত এনবিসি টেলিভিশনে দুই সিজনের টারজানের ৫৭টি এপিসোড সম্প্রচারিত হয়। এতে আধুনিক দর্শকদের জন্য এক নতুন টারজান চরিত্রকে তুলে ধরা হয়। সে সময় রন এলি তার প্রায় সব স্টান্ট নিজেই করতেন। তা করতে গিয়ে দুবার তার কাঁধের হাড় ভেঙেছে, পিঠের পেশি ছিঁড়েছে, এবং দুবার সিংহের কামড় খেয়েছেন। আর এইসব তার জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়ে দেয়। টারজান সিরিজটি জনপ্রিয়তার জন্যই পরে বিভিন্ন ভাষায় ডাবিং করে বিশ্বের নানা দেশে সিরিজটি প্রচারিত হয়েছিল।
টারজান এলিকে বিশ্বের সবার কাছে নিয়ে গিয়েছিল। রন এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, এই চরিত্রটি এমন একটি ফাঁদ, যেখান থেকে কেউই মুক্তি পায় না। এই চরিত্রের সঙ্গে তিনি এতটাই মিশে গিয়েছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্রে তার অন্য চরিত্রে কাজ পেতে সমস্যা হয়ে যায়। এ কারণে তিনি কাজের জন্য ইউরোপে চলে যান।
১৯৭৫ সালে এলি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আরেকটি জনপ্রিয় চরিত্র ‘ডক স্যাভেজ: দ্য ম্যান অব ব্রোঞ্জ’-এ নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন। এরপর তিনি আবার টেলিভিশনে ফিরে যান। দীর্ঘবছর রি অভিনেতা টেলিভিশনের একাধিন জনপ্রিয় সিরিজে অভিনয় করেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |