প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ নিজেদের ৬০ প্রার্থী ‘বেইমান’ বললেন শমসের-তৈমূরকে

নিজেদের ৬০ প্রার্থী ‘বেইমান’ বললেন শমসের-তৈমূরকে

জাতীয়: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃণমূল বিএনপি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ৬০ প্রার্থী দলটির চেয়ারপারসন ও মহাসচিবের বিরুদ্ধে যোগাযোগ বন্ধের অভিযোগ তুলেছেন। দলটির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী ও মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকারকে ‘জাতীয় বেইমান’ আখ্যা দিয়ে আরও নানান অভিযোগ করেন তারা।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় দলটির ৬০ প্রার্থীর পক্ষে এ অভিযোগ জানানো হয়। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃণমূল বিএনপি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৩৭ প্রার্থী। তবে তৃণমূল বিএনপির পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

আলোচনা সভায় তৃণমূল বিএনপির ৬০ প্রার্থীর পক্ষে বলা হয়, ‘আমরা নির্বাচনী ধারা অব্যাহত রাখার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি। তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী ও মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার জাতীয় বেইমান। তারা নির্বাচনী মাঠে নামিয়ে এখন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছেন।’

তারা আরও বলেন, ‘আমরা বিশেষ সংবাদমাধ্যমে জানতে পেরেছি, চেয়ারপারসন ও মহাসচিব বিএনপির সঙ্গে আঁতাত করে সব প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে এনে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছেন। এ অবস্থায় আমরা তৃণমূল বিএনপির সব প্রার্থী সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ সমস্যা সমাধানের জন্য হস্তক্ষেপ কামনা করছি। যেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হই।’

অভিযোগের বিষয়ে তৃণমূল বিএনপির ভাইস চেয়ারপারসন ও মিডিয়া উইংয়ের চিফ সালাম মাহমুদ বলেন, ‘এটা চক্রান্ত। এরা এলাকায় নির্বাচনী কাজ না করে ঢাকায় এসে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

ঢাকা-১৫ আসনের তৃণমূল বিএনপি মনোনীত খন্দকার এমদাদুল হক সেলিম এই সংবাদ সম্মেলন করিয়েছেন। ব্যানারে লেখা দলের কো-চেয়ারপারসন কে এ জাহাঙ্গীর মাজমাদার ও ভাইস চেয়ারপারসন ডা. শেখ হাবিবুর রহমানের নাম। তারা উপস্থিত নেই। আমরা গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে উনাদের সঙ্গে কথা বলেছি, উনারা বলেছেন আসবেন না।’

তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন ও মহাসচিবের সঙ্গে প্রার্থীদের যোগাযোগ বন্ধের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুজনই এখন নির্বাচনী প্রচারে খুবই ব্যস্ত। তাছাড়া তাদের পক্ষে ১৩৭ প্রার্থীর সঙ্গেই নিয়মিত যোগাযোগ করাও সম্ভব নয়। প্রার্থীদের কেউ যোগাযোগ করলে দলের মিডিয়া উইংয়ের পক্ষ থেকে চেয়ারপারসন-মহাসচিবের সঙ্গে সমন্বয় করে দেওয়া হয়।

নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপির সঙ্গে আঁতাত করে ভোট থেকে সরে যাওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে সালাম মাহমুদ বলেন, এটা সম্পূর্ণ অবান্তর কথা। আমাদের বেশকিছু প্রার্থীর বিজয় হওয়া এবং আগামী সংসদে ‘শক্তিশালী বিরোধী দল’ হওয়ার ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। তাহলে আমরা কেন নির্বাচন থেকে সরে যাব?

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।