প্রচ্ছদ আর্ন্তজাতিক নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সময় যা বলেছিলেন স্মিথ

নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সময় যা বলেছিলেন স্মিথ

বিশ্বে প্রথম নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে আলাবামা রাজ্যে এই দণ্ডাদেশ কার্যকর করা হয়। কেনেথ ইউজিন স্মিথ (৫৮) এক নারীকে হত্যার দায়ে এই সাজা ভোগ করলেন। এর আগে স্মিথ সুপ্রিম কোর্টে এবং ফেডারেল আপিল আদালতে আপিল করলেও হেরে যান।

বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নতুন এই পদ্ধতি পর্যবেক্ষণ করতে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয় ৫ সাংবাদিককে। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগের আগে ও পরে স্মিথের বিভিন্ন আচরণ নিয়ে কথা বলেন তারা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগে স্মিথ বলেন, ‘আজ রাতে আলাবামা কর্তৃপক্ষ মানবিকতাকে এক ধাপ পেছনে নিয়ে গেল।’ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন স্মিথের স্ত্রী এবং স্বজনেরা। তাদের উদ্দেশে স্মিথ বলেন, ভালোবাসা, শান্তি আর জ্যোতি নিয়ে আমি পৃথিবী ছাড়ছি। তোমাদের সবার জন্য ভালোবাসা থাকল।’

প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সালে এলিজাবেথ সেনেট নামের এক নারীকে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হন স্মিথ। ২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ স্মিথকে ইনজেকশন প্রয়োগ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অনুমতি দেন। এলিজাবেথ সেনেটকে খুন করার জন্য কেনেথ স্মিথ এবং তার এক সহযোগীকে ভাড়া করেছিলেন ওই নারীর স্বামী চার্লস সেনেট। কৌঁসুলিরা বলেছেন, স্ত্রীর বিমার টাকা পেতে এ ষড়যন্ত্র করেছিলেন চার্লস। পরে অবশ্য তিনি আত্মহত্যা করেন। এ হত্যার ঘটনায় স্মিথের সহযোগীকেও মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। ২০১০ সালে এ দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।