অপরাধ: ধর্ষণ মামলায় কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ বিচারক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ মো. রেজাউল করিম এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বেশ কয়েক বছর পূর্বে বাজিতপুর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে ফোনে পরিচয় হয় ওই নারীর। পরিচয়ের সুবাদে ফোনে কথাবার্তার এক সময় তাদের মাঝে সখ্য ও প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে মামুন ওই নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।
এরপর গত ৫ মার্চ বিকেলে মামুন ওই নারীর বাড়িতে এসে, গল্পচারিতার এক পর্যায়ে মুখে চাপ দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আসামি মামুন এ ব্যাপারে কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করে এবং ভয় দেখায়। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই নারীকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করে মামুন।
পরে ওই নারী তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে, একজন মৌলভী ডেকে এনে সূরা পড়িয়ে তাকে বিয়ে করেছে বলে বিশ্বাস করায়। কিন্তু বিয়ের কাবিনের কথা বললে মামুন তাকে খারাপ মেয়ে বলে গালাগাল করে এবং বিয়ে না করার কথা জানিয়ে দেয়।
এরপর ওই নারী পরিবারের সদস্যদের ঘটনাটি জানায়। পরে তারা স্থানীয়ভাবে দেনদরবারের আয়োজন করলেও মামুন সেখানে আসেনি। বাধ্য হয়ে সুষ্ঠু বিচারের আশায় ওই নারী ১৮ মে আসামির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |