আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে শেখ হাসিনা দেশে ফিরবেন কিনা সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। মার্কিন সংবাদমাধ্যম টাইম ম্যাগাজিনের একটি প্রতিবেদনে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) টাইম ম্যাগাজিনের অনলাইন সংস্করণে চার্লি ক্যাম্পবেলের ‘বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী শেখ হাসিনা কীভাবে একটি অপ্রত্যাশিত প্রত্যাবর্তন করতে পারেন’ শিরোণামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি ইস্যুতে কথা বলেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
বাংলাদেশে নির্বাচন ঘোষণা হলে তাতে অংশ নিতে শেখ হাসিনা দেশে ফিরবেন কিনা প্রসঙ্গে জয় বলেছেন, এ ব্যাপারে ‘এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, তারা যদি এক বছর বা ১৮ মাস দেশ চালাতে চায়, তাহলে আমার বিশ্বাস এটা ঠিক আছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরবেন কিনা জানতে চাইলে জয় বলেন, ‘আমার কখনোই রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে কী ঘটতে পারে তা কে জানে? আমি কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি।
কোটা আন্দোলনের প্রসঙ্গে জয় বলেন, আমরা সবাই-ই কোটা আন্দোলন দেখে অবাক হয়েছিলাম। আসলে আমি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বলেছিলাম, ৩০ শতাংশ কোটা বেশি হয়ে যায়; আমাদের এটি কমিয়ে ৫ শতাংশে নিয়ে আসা উচিত। তখন একজন মন্তব্য করেন, আমরাও মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনি। আমি মজা করে বলেছিলাম, এজন্যই তো আমি ৫ শতাংশ রাখতে বলেছি! শেষ পর্যন্ত কোটা ইস্যু অগ্নিশিখার মতো বৈষম্য ও রাজনৈতিক দমনপীড়নের প্রতি বাংলাদেশের জনসাধারণের ক্ষোভকে উসকে দেয়। জুলাই মাসে এই অস্থিরতা তীব্র আকার ধারণ করে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের সহিংসভাবে দমন-পীড়নের ফলে অন্তত ১ হাজার মানুষ মারা যান। সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘তিনি (হাসিনা) দেশের পরিস্থিতি নিয়ে খুবই হতাশ। কারণ গত ১৫ বছরে তার সব পরিশ্রম প্রায় বিফলে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। তখন থেকে তিনি ভারতেই অবস্থান করছেন।
সুুত্রঃ বিডি২৪লাইভ
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |