জাতীয়: রক্তক্ষয়ী জুলাইয়ের পর গণঅভ্যুত্থানের আগস্ট, নতুন করে বাংলাদেশের ইতিহাস রচনা, এসেছে সংস্কারের সেপ্টেম্বর। তবে সহসাই এত শঙ্কাহীন হওয়ার সুযোগ বোধহয় নেই৷ অন্তত চলমান ইস্যুতে ভারতের অতি তৎপরতা তেমনটাই বার্তা দিচ্ছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার রয়ের এর একের পর এক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে বলে রিপোর্ট করেছে জার্মানির ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম দ্য মিরর এশিয়া। পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের প্রথম প্রজেক্ট ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের জন্য।
এই প্রজেক্টের উদ্দেশ্য হল ডক্টর ইউনুসের সরকারের ওপর ইসলামপন্থীরা ভর করেছে এমন বয়ান হাজির করানো। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে আন্দোলনকারীদের সাথে হিযবুত তাহরীর সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ ও জনগণের মধ্যে ভয় তৈরি করার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে টার্গেট করা হচ্ছে তরুণ বামপন্থী নেতাদের। ইতোমধ্যে মার্কিন বিরোধী তিনজন বামপন্থী সাবেক ছাত্রনেতা সাথে দিল্লিতে কর্মরত একজন সাংবাদিক দীর্ঘ সময় কথা বলেছেন বলেও জানানো হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই মুহূর্তে ভারতের অগ্রাধিকার হল তরুণদের কোনো দল গঠনের সুযোগ না দিয়ে বর্তমান সরকারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালানো। ইতোমধ্যে রয়ের অভ্যন্তরে একটি উপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। যার কাজ হচ্ছে বাংলাদেশের এই মিশন সম্পন্ন করা। এছাড়াও রয়েছে ভিক্টর টু নামে একটি সেল, যেখানে বাংলাদেশ সম্পর্কিত সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। সমন্বয়ক হাসনাত ও সারজিতসহ ছাত্রনেতাদের ফেসবুক স্ট্যাটাসকে হিন্দি ও ইংরেজিতে অনুবাদ করে ভিক্টর টু এর টেবিলে জমা দেওয়া হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৬ জুলাই যখন হাসিনা সরকার শিক্ষার্থীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেন তখন ধীরে ধীরে পরিস্থিতি সরকারের অনুকূলে চলে যায়। পরে শেখ হাসিনার বিশেষ অনুরোধ ও ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টার সরাসরি তদারকি তে বাংলাদেশেরও এর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চারশ কর্মকর্তা ঢাকায় যান। তাদের কাশ্মীরি কায়দায় আন্দোলন দমন করে তাঁরা দিল্লি ফেরেন ২৮জুলাই। কিন্তু পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে তারা ওয়াকিবহল ছিল না প্রতিবেদনে বলা হয়।
বরং পাঁচ আগস্টের পর ১০ আগষ্ট সংখ্যালঘুদের সমাবেশের আড়ালে একটি প্রতিবিপ্লব করার পরিকল্পনা করে তার জন্য বিপুল সংখ্যক ভারতীয় সাংবাদিক ও সেদিন ঢাকায় উপস্থিত ছিলেন। সেটি ব্যর্থ হলে দ্বিতীয় কুর পরিকল্পনা করা হয় ১৫ আগস্ট। কিন্তু সেটিও ব্যর্থ হয় রিপোর্টে বলা হয়েছে। হাসিনা বর্তমানে ভারতের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর সুরক্ষিত একটি ভবনে থাকছেন। সেখানে বিভিন্ন হাই প্রোফাইল মিটিং করছেন তিনি।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |