প্রচ্ছদ সারাদেশ দুই পক্ষের ধাওয়া-পালটা ধাওয়ায় আহত ১০, সেনাবাহিনী মোতায়ন

দুই পক্ষের ধাওয়া-পালটা ধাওয়ায় আহত ১০, সেনাবাহিনী মোতায়ন

সারাদেশ: পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মাদারীপুরের কালকিনিতে যুবদলের দুই পক্ষের মাঝে দফায়-দফায় ধাওয়া পালটা ধাওয়া ও বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরনে ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উপজেলা যুবদলের সভাপতি প্রার্থী মো. মামুন শিকদার ও মো. শামীম মোল্লাসহ ১০ জন যুবদল কর্মী আহত হয়েছে।

আহতদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা যুবদলের সভাপতি প্রার্থীতা নিয়ে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মামুন শিকদারের ও শামীম মোল্লার সমর্থকদের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে রেশারেশি চলে আসছে। তারা দুইজনই উপজেলা যুবদলের সভাপতি প্রার্থী হয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাচ্ছেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে চরম শত্রুতা সৃষ্ঠি হয়েছে এবং দুই পক্ষ মাঠে প্রভাব বিস্তার নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। শ‌নিবার ৪ জানুয়ারি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবাষিকী প্রতিরোধ করতে মাঠে নামে যুবদল সভাপতি প্রার্থী মামুন শিকদার ও শামীম মোল্লার কর্মী সমর্থকরা।

এ সময় যুবদলের ওই দুই পক্ষের লোকজন সামনা সামনি হলে প্রথমে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায় যুবদলের উভয় পক্ষের মাঝে ধাওয়া পালটা ধাওয়া, ইটঁপাটকেল ছোড়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন উপজেলা যুবদলের সভাপতি প্রার্থী মামুন শিকদার, শামীম মোল্লা, যুবদল কর্মী মো. তুহিন, জাহিদ, সম্রাট মোল্লা ও মিন্টু ঘরামীসহ কমপক্ষ্যে ১০ জন। এ ঘটনার পর থেকেই ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। আহত যুবদল নেতা শামীম মোল্লা জানান, মামুনের লোকজন আমার লোকজনকে মারধর করেছে। আর যুবদল নেতা মামুন শিকদার বলেন, শামীমের লোকজন আমার লোকজনকে মারধর করেছে। এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি সোহেল রানা বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে।

সূত্র: Channel24online

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।