সিরিজ শেষের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শুরু হলে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের দিকেই ফিরছিলেন তাসকিন আহমেদ। চতুর্থ ম্যাচে বোলিংয়ের সময় পাঁজরের পেশিতে যে টান পড়েছিল, তার গভীরতা দেখতে তাঁকে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল। হাসপাতাল থেকে ফেরার পর অনানুষ্ঠানিকভাবে তাসকিনের হাতে তুলে দেওয়া হয় সিরিজ সেরার পুরস্কার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি পোস্ট করতে ফটোসেশনও হয় পেসারকে। বিসিবির পোস্ট দেওয়া ছবির দিকে তাকালে মনে হবে জোর করে মুখে হাসি রেখেছেন তাসকিন, যেখানে লুকিয়ে আছে অনিশ্চয়তা। তাসকিনের ভাষায় বিশ্বকাপ যাত্রা ‘ফিফটি ফিফটি’। তেমন কিছু হলে বিশ্বকাপ দলের জন্য এটি বড় ধাক্কা হয়ে উঠতে পারে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শেষে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করার পরিকল্পনা ছিল নির্বাচকদের। তাসকিনের চোটের কারণে সে সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে যেতে হয়। এ পেসারের চোটের স্ক্যান রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর দল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আজ। বিশ্বকাপ দলে তাসকিনের থাকা, না থাকার ব্যাপারে গতকাল বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এ রকম বার্তাই দিয়েছেন, ‘আমরা শুনেছি ওর (তাসকিন) একটা চোট আছে। কাল (আজ) সকালে রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর আমাদের দেখতে হবে ওর কতদিন লাগতে পারে (সেরে উঠতে) এবং তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠার সুযোগ আছে কিনা। এ ধরনের চোটে সাধারণত দুই থেকে তিন সপ্তাহ বিশ্রামে থাকতে হয়। দুই সপ্তাহ বা তিন সপ্তাহ হলে তখন কী করা হবে, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আছে। দরকার হলে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলব, এখনই যোগাযোগ করব। যদি ঠিক করা যায়, তাহলে এক জিনিস; আর দেরি করতে হলে অন্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
তাসকিনের বিশ্বকাপ ভাগ্য মসৃণ নয়। ২০১৬ সালের টি২০ বিশ্বকাপের মাঝপথে দেশে ফিরতে হয়েছিল ত্রুটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগ নিয়ে। ২০১৯ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে যাওয়া হয়নি চোটের কারণে। এবার টি২০ বিশ্বকাপের দল ঘোষণার আগে চোট হানা দিয়েছে ডানহাতি এ পেসারের পাঁজরে। বিসিবি সভাপতি তাই আক্ষেপ করে বলছিলেন, ‘দেখেন, আমাদেরও কপাল মন্দ। বিশ্বকাপ আসছে, এখনই তাসকিনকে চোটে পড়তে হলো। এর আগে ওয়ানডে বিশ্বকাপে আমরা এবাদত হোসেনকে পাইনি।’
চোটের সঙ্গে তাসকিনের ঘরবসতি পুরোনো। কাঁধের চোটের কারণে ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে সেরাটা উজাড় করে দিতে পারেননি। দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে খেলা হয়নি তাঁর। গত ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড সফরেও যেতে পারেননি চোট পরিচর্যা করতে থাকায়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি২০ সিরিজ দিয়ে দলে ফিরলেও খুব একটা ভালো করতে পারেননি। সেরা ছন্দ ফিরে পেয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি২০ সিরিজে। ৪.৫৬ ইকোনমিতে চার ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হয়েছেন। তাঁকে নিয়েই কিনা অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |