পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে কথা বলা আরেক শিক্ষক ড. সরোয়ার হোসেনের সব ক্লাস প্রত্যাহার করেছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন ড. সরোয়ার হোসেন নিজেই।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর স্ট্যাটাস ভাইরাল হয়। যেখানে বলা হয়, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের এই সহযোগী অধ্যাপক সরোয়ার হোসেনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এই স্ট্যাটাসকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় নানা আলোচনা সমালোচনা। তবে এই গুঞ্জন কতটুকু সত্য তা নিয়ে রয়ে যায় ধোঁয়াশা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্পক্ষের কাছে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণসংযোগ কর্মকতা ওয়াহিদ জানান, বিষয়টি সত্য নয়। তবে, তাকে এখনো চাকরিচ্যুত করা না হলেও তার সকল ক্লাস বাতিল করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ড. সরোয়ার।
তিনি বলেন, আমি গতকাল সকালে আমার নির্ধারিত ক্লাস নিতে গেলে সেখানে আরেকজন শিক্ষককে দেখতে পাই। এ বিষয়ে তিনি সেই শিক্ষককে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, তার ক্লাস প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সরোয়ার হোসেন আরও বলেন, ক্লাস বাতিল করা সম্পর্কে আমাকে পূর্বে কোনো প্রকার নোটিশ কিংবা ইমেইল করা হয়নি। এমনকি ক্লাস রুটিন থেকেও আমার নাম সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীই আমার কোর্সটি করার জন্য এই সেমিস্টারে কোর্সটি নিয়েছে। তবে আমার নাম সরিয়ে নেওয়ায় তারা অবাক হয়েছেন এবং আমার কাছে জানতে চেয়েছেন। বিষয়টি দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে আগামী শনিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে বলেও জানান ড. সরোয়ার।
প্রসঙ্গত, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয় সারা দেশে। একই অনুষ্ঠানে ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে প্রতিবাদ করায় এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কোর্স থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)’র স্কুল অব এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেনকে।
এর আগে, গত শুক্রবার রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক : বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে নতুন কারিকুলামের সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান পাঠ্যবইয়ের শরীফ থেকে শরীফা হওয়ার গল্পের অংশটুকু প্রতিবাদ করেন ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন। তার এ প্রতিবাদের ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |