বিনোদন : ভালোবাসার টানে এবার নরসিংদীর যুবককে বিয়ে করে দেশে এসেছেন এক মালয়েশিয়ান তরুণী। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। ভিনদেশি তরুণীকে কাছে পেয়ে উচ্ছ্বসিত পরিবার ও এলাকাবাসী।
জাহিদ খান নরসিংদী সদর উপজেলার হাজিপুর এলাকার মৃত বাচ্চু মিয়ার ছোট ছেলে। জানা যায়, আর্থিক সচ্ছলতা ফেরাতে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান নরসিংদীর ছেলে জাহিদ খান। সেখানে একটি খেলনার দোকানে সেলসম্যান হিসেবে চাকরি শুরু করেন। ছোট থেকেই মোটরসাইকেলের প্রতি নেশা থাকায় তিনি মালয়েশিয়ায় কাজের ফাঁকে ইউটিউবে মোটরসাইকেল নিয়ে ব্লগিং করতেন।
সেই সূত্রেই ফটোশুটের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার তরুণী রুহি রুহানার সঙ্গে পরিচয়। সেখান থেকেই বন্ধুত্ব, তারপর দুইজনের মন দেওয়া-নেওয়া শুরু হয়। এরপর ভালোবাসার টানে জাহিদের সঙ্গে রুহি চলে এলেন নরসিংদীতে। এরপর মুসলিম রীতি অনুযায়ী বিয়ে হয় তাদের। বিয়েতে গায়ে হলুদসহ বিয়ের নানা আয়োজন ছিল।
মালয়শিয়ার নাগরিক রুহি রুহানার পেশায় একটি গাড়ি উৎপাদন কোম্পানির প্রসাশনিক কর্মকর্তা। দীর্ঘ দুই বছর সম্পর্কের পর সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করার। প্রথমে তরুণীর পরিবার রাজি না হলেও পরে মালয়েশিয়ায় তাদের বিয়ে হয়। সেখানে জাহিদের পরিবারের লোকজন না থাকায় প্রেমিক জাহিদের সঙ্গে গত ১৫ জানুয়ারি মালয়েশিয়া থেকে নরসিংদীর হাজিপুরে চলে আসেন এই তরুণী।
পরে সোমবার মুসলিম রীতিনীতি অনুয়ায়ী তাদের দুজনের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হয়। এর আগের দিন গায়ে হলুদসহ বিয়ের নানা আয়োজনও ছিল মনোমুগ্ধকর। বাংলাদেশি তরুণের সাথে ভিনদেশি তরুণীর বিয়েতে খুশি পরিবার ও এলাকাবাসী।
জাহিদের ভাই আশিক আহাম্মেদ বলেন, ওদের ভালোবাসার মাধ্যমে দুই দেশের মানুষের মধ্যে আত্বীয়তার সম্পর্ক তৈরি হলো। রুহি খুবই দ্রুত আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে। সে আন্তরিকতার সঙ্গে সবার সঙ্গে মেলামেশা করছে।
মালয়েশিয়ান তরুণী রুহি বলেন, ফটোশুট করতে গিয়ে পরিচয়, সেখান থেকে ভালোবাসা শুরু। জাহিদ মানুষ হিসেবে খুব ভালো। সে আমার খুব যত্ন করে। মালয়েশিয়ায় বিয়ে হলেও ওদের পরিবারের কেউ না থাকায় আমরা আবার বিয়ে করেছি। নিজের পরিবারকে মিস করলেও এতো বড় পরিবারে সবার সঙ্গে থেকে তাদের ভালোবাসায় সব ভুলে যাই। আমার বাংলাদেশের সবকিছু অনেক ভালো লাগে।
জাহিদ হাসান বলেন, রুহির পরিবার ভিনদেশি ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রথমে মেনে নিতে চায়নি। পরে সে বোঝালে তার পরিবার মেনে নেয়। রুহি আমাকে ভালোবেসে ভাষা শিখেছে। তাকে মালয়েশিয়ান বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে নিয়ে বাংলাদেশি খাবারের সঙ্গে পরিচয় করিয়েছি। পরে তাকে দেশে নিয়ে এসেছি। এখন তাকে বাংলাদেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরিয়ে দেখাব। যাতে সে দেশের মানুষ ও প্রকৃতি সম্পর্কে জানতে পারে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |