রাজধানীর পল্টনে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মসজিদের মধ্যে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকজন মুসল্লি আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের আগে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বায়তুল মোকাররমের বর্তমান ও সাবেক দুই খতিবের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নামাজের আগে নিয়মানুযায়ী বায়তুল মোকাররম মসজিদের বর্তমান খতিব মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান বয়ান করছিলেন। এমন সময় পুরানো খতিব মুফতি রুহুল আমিন (আত্মগোপনে থাকা) তার অনুসারীদের নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করেন। নতুন খতিবের কাছে থাকা মাইক্রোফোনে পুরনো খতিব হাত দিলে বর্তমান খতিবের অনুসারীরা প্রতিবাদ করেন। এরপর দুই পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে হাতাহাতি বেঁধে যায়।
প্রায় আধাঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলার পর সাবেক খতিব মুফতি রুহুল আমিন মসজিদ ছেড়ে চলে যান। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় পরিবেশ কিছুটা শান্ত হলে সোয়া একটার দিকে আবারও মসজিদে নামাজ শুরু হয়। পরে খবর পেয়ে দ্রুত বায়তুল মোকাররম মসজিদে আসেন সেনাবাহিনীর সদস্যরাও।
এ বিষয়ে মতিঝিল পুলিশ বিভাগের উপ কমিশনার মো. শাহরিয়ার আলী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভেতরে নতুন এবং পুরাতন খতিব নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়। তারা একপক্ষ আরেক পক্ষকে জুতার বাক্স থেকে জুতা বের করে ছুড়ে মেরেছে। পরে জেনেছি পুরাতন খতিব নামাজ পড়াতে পারেননি। নতুন খতিব জুমার নামাজ পড়িয়েছেন।
পল্টন থানার ওসি মোল্লা মো. খালিদ হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা মসজিদের বাইরে কোনো ঝামেলা তৈরি হতে দেইনি। একটি গ্রুপ এসে মসজিদের বাইরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল, কিন্তু আমরা তাদেরকে মসজিদের বাইরেও অবস্থান করতে দেইনি।
উত্তেজনাকর পরিস্থিতে তিনজনকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে ওসি আরও জানান, বর্তমানে মসজিদ এলাকার পরিস্থিতি ‘স্বাভাবিক আছে’।
সুূুত্রঃ কালবেলা
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |