
জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ সময় নিজের পরিচয় হিসেবে তিনি লিখেছেন ‘রাজনৈতিক কর্মী’।
গতকাল শুক্রবার রাত ১০টা ৪ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রবেশ করেন তারেক রহমান। এরপর শহীদ বেদির সামনে দাঁড়িয়ে তিনি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তার সঙ্গে থাকা দলের নেতৃবৃন্দসহ এক মিনিট নীরবতা পালন করেন তিনি।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, রাস্তায় জনস্রোতের কারণে আসতে কিছুটা দেরি হয়েছে। এত সময় অপেক্ষা করার জন্য তিনি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এরপর তিনি স্মৃতিসৌধের বেদি এলাকা ত্যাগ করে তাকে বহনকারী বাসে ওঠেন। রাত ১০টা ৩৭ মিনিটের দিকে বাসেই বসে জাতীয় স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
পরিদর্শন বইয়ে তিনি তারিখের স্থানে বাংলায় ‘২৮-১২-২০২৫’ লেখেন। নামের স্থানে লেখেন ‘তারেক রহমান’ এবং পরিচয়ের ঘরে উল্লেখ করেন ‘রাজনৈতিক কর্মী’। মন্তব্যের স্থানে তিনি লেখেন, ‘১৯৭১ এর শহীদের প্রতি জাতি চির কৃতজ্ঞ। তাদের আত্মার প্রতি আল্লাহর দরবারে মাগফেরাত কামনা করি। জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।’
রাত ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে তাকে বহনকারী বাসটি জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকা ত্যাগ করে।
এ বিষয়ে বিএনপির ঢাকা জেলা কমিটির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক বলেন, ‘আমরা আগেই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলাম। পরে তিনি এসে বেদির সামনে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান। এরপর বাসে উঠেই পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করে বাসভবনের উদ্দেশে রওনা দেন।’
এর আগে, তারেক রহমানের পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়ায় স্মৃতিসৌধের নিয়ম অনুযায়ী বিকেলেই তার পক্ষ থেকে দলের নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায়, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ডা. দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাবুসহ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতারা।
সূত্র : ইত্তেফাক









































