দেশজুড়ে : খুলনায় পাচারকারী এক ব্যক্তির কাছ থেকে স্বর্ণ ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একইসঙ্গে পাচারকারী ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) লবণচরা থানার পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, খুলনার খালিশপুর এলাকার স্বর্ণ পাচারকারী ব্যাসদেব দে, লবণচরা থানার এসআই মোস্তফা জামান, এএসআই আহসান হাবীব ও কনস্টেবল মুরাদ। তারা তিনজনই লবণচরা থানায় কর্মরত ছিলেন।
তাদের নামে লবণচরা থানায় এসআই মোকলুসুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ব্যাসদেব দে একজন পেশাদার স্বর্ণ পাচারকারী। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে তিনি ৬টি স্বর্ণের বার ভারতে পাচারের জন্য সাতক্ষীরায় যাচ্ছিলেন। পরিবহনটি খুলনার সাচিবুনিয়া মোড়ে থামিয়ে তল্লশি চালায় অভিযুক্ত তিন পুলিশ সদস্য।
একপর্যায়ে পরিবহন থেকে ব্যাসদেব দে নেমে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করেন। তখন তিন পুলিশ তাকে আটক করে ৬টি স্বর্ণের বারের মধ্যে ৩টি ছিনিয়ে নেন। বাকি ৩টি তাকে দিয়ে দেয় এবং মোটরসাইকেলে তাকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে ছেড়ে দেয়। ছিনতাই করা ৩টি স্বর্ণ বারের মূল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা।
মামলার এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, পরে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ করেন ব্যাসদেব। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই তিন পুলিশ সদস্যকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তখন অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়।
লবণচরা থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান বলেন, স্বর্ণ পাচারকারীকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ও অভিযুক্ত তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৩৯২ ধারায় মামলার পর গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |