প্রচ্ছদ সারাদেশ চোখ-মুখে সুপার গ্লু; এমন লোমহর্ষক ঘটনা দেখেনি কেউ

চোখ-মুখে সুপার গ্লু; এমন লোমহর্ষক ঘটনা দেখেনি কেউ

খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় চোখে ও মুখে সুপার গ্লু লাগিয়ে দেওয়া গৃহবধূ (৪৫) খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। সুপার গ্লু লাগিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে পরিবারে পক্ষ থেকে অভিযোগ। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মামলা করতে পাইকগাছা থানায় গেছেন গৃহবধূর স্বামী।

এদিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা বলছেন, এমন রোগী তারা দেখেননি। একই ভাষ্য বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার খুলনা বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলামের। তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘মানবাধিকার কর্মী হিসেবে ৪০ বছরেও এমন লোমহর্ষক ঘটনা দেখিনি। সংস্থার পক্ষ থেকে ভিক্টিমকে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে

গৃহবধূর স্বামী জানিয়েছেন, তার স্ত্রীর শরীর এখনও খুবই দুর্বল। হালকা হালকা কথা বলছেন। তবে সেই কথাগুলো অনেকটা এলোমেলো।

এ ঘটনায় কোনো মামলা করা হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘আমি এখন পাইকগাছা থানাতেই আছি। মামলা করতেই এসেছি।’

খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ড-২ এর সহকারী রেজিস্ট্রার ডাক্তার মো. কনক হোসেন বলেন, ওই রোগীকে যখন ভর্তি করা হয় তখন তিনি অবচেতন অবস্থায় ছিলেন। চোখের পাতা ও দুই ঠোঁট শক্ত আঠা দিয়ে লাগানো ছিল। রোগীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঁচড়ের দাগ ও ছোট ছোট আঘাতের চিহ্ন ছিল। অস্ত্রোপচার কক্ষে নিয়ে আঠা অপসারণ করা হয়। এরপর রোগীকে পাঠানো হয় চক্ষু ওয়ার্ডে। এরপর চক্ষু ওয়ার্ড থেকে তাকে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়।

চোখ-মুখে সুপার গ্লু লাগিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগচোখ-মুখে সুপার গ্লু লাগিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ
খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেলের (ওসিসি) কো-অর্ডিনেটর ডা. সুমন কুমার রায় বলেন, রোগী এখনও সার্জারি ওয়ার্ডের তত্তাবধায়নে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাকে ওসিসিতে আনা হয়েছিল। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সার্জারি ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। তার সাথে কী হয়েছিলো তার সঠিক তথ্য দেওয়ার মতো শারিরীক অবস্থায় তিনি নেই।

মার্চে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষামার্চে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা
এদিকে চুরি ও ধর্ষণের অভিযোগে এখনও কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুর রহমান বলেন, গৃহবধূ গুরুতর অসুস্থ থাকায় কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় কাউকে গেপ্তার বা আটক করাও সম্ভব হয়নি। তবে ঘটনাটি আমাদের নজরদারিতে রয়েছে।

পাইকগাছা উপজেলায় রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ ও ঘর থেকে স্বর্ণালঙ্কারসহ টাকা চুরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সকাল প্রতিবেশীরা ওই নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।