চিত্রনায়িকা রত্না কবির সুইটি। একটি সিনেমা দিয়েই নিজেকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেন দর্শকমহলে। জানান দেন ঢাকাই সিনেমায় তিনি এসেছেন দীর্ঘ সময়ের জন্য। সেই সিনেমার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার গল্প নিয়ে সম্প্রতি তিনি কথা বলেছেন তারাবেলা অনুষ্ঠানে। রত্না অভিনীত ‘ইতিহাস’ সিনেমাটি দর্শকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
শুরুতেই এ নায়িকা বলেন, ‘আমি চিন্তাও করিনি ইতিহাসের নায়িকা হবো। কারণ সেখানে মৌসুমী আপু আগে থেকেই কনফার্ম ছিলেন। এ ছাড়া এরই মধ্যে আমি নায়িকা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলাম। সেখানে মৌসুমী আপু তখন সুপারস্টার। তিনি যেহেতু আগে থেকেই আছেন, তাহলে অবশ্যই আমাকে সহশিল্পী হিসেবে নেওয়া হবে; কিন্তু আমি তো এমন চরিত্র করব না; কিন্তু তখন কাজী হায়াৎ কাকা নায়িকা খুঁজছেন। এরপর একদিন তিনি আমাকে কল দিয়ে ইতিহাস সিনেমার কথা বললেন। তখন আমি তাকে সিনেমাটি না করার বিষয়ে অনীহার কথা জানাই। তখন তিনি আমাকে বলেন সিনেমায় মৌসুমী আছে ঠিকই কিন্তু তিনি নায়িকা নন। তার কোনো নায়ক নেই। এরপর আমি গল্পটা দেখি। তারপরই কাজটি করার সিদ্ধান্ত নিই। বাকিটা ইতিহাস।’
এ সময় মারুফের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়েও কথা বলেন রত্না। তিনি বলেন, ‘ইতিহাস মারুফের প্রথম সিনেমা; কিন্তু এখনো মনে আছে শুটিংয়ের প্রথম দিন থেকে তার অভিনয় আমাদের সবাইকে মুগ্ধ করে। বুঝতেই পারিনি যে এটা আসলে তার প্রথম সিনেমা। এর কারণ তার রক্তে অভিনয়। অভিনয়ের পরিবার থেকেই তিনি এসেছেন। তাই কাজটি করে আমি নিজেকে বেশ ভাগ্যবান মনে করি।’
এ সিনেমাটি মুক্তির পর সারা দেশে ব্যাপক প্রশংসিত হয়। ব্যবসার দিক থেকেও বেশ কিছু রেকর্ড তৈরি করে। তাই তো রত্না ইতিহাস সিনেমাকে তার ক্যারিয়ারের সেরা সিনেমার মধ্যে একটি মনে করেন। এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারে আমি অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছি। কিন্তু আমি এই একটি সিনেমা দিয়ে যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছি, তা সব সিনেমা দিয়েও হয়নি। তাই এটি আমার কাছে স্পেশাল।’
কাজী হায়াতের পরিচালনায় ‘ইতিহাস’ সিনেমায় অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান রত্না। এরপর তিনি নির্মাতাদের পছন্দের তালিকায় চলে যান। তারপর একে একে তিনি অভিনয় করেন ‘ধোঁকা’, ‘মরণ নিয়ে খেলা’, ‘নষ্ট’, ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘সন্তান আমার অহংকার’, ‘মন যেখানে হৃদয় সেখানে’, ‘সন্তানের মতো সন্তান’সহ বেশ কিছু দর্শকপ্রিয় সিনেমায়। তবে এখন আর তাকে সেভাবে অভিনয়ে দেখা যায় না। ব্যস্ত আছেন পরিবার নিয়ে। এ ছাড়া সবশেষ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে তিনি কার্যকরী পরিষদ পদে নারী প্রার্থীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |