প্রচ্ছদ অন্যরকম ‘ঘুষের টাকা ফেরত দিলেন’ ২ এসআই

‘ঘুষের টাকা ফেরত দিলেন’ ২ এসআই

অন্যরকম: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানায় আটক স্বজনসহ দু’জনকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে নেওয়া ঘুষের টাকা দুই উপপরিদর্শক (এসআই) ফেরত দিয়েছেন বলে জানা গেছে। গত মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ওই দুই কর্মকর্তা বাড়িতে গিয়ে টাকা ফেরত দিয়ে আসেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী নাইমুল হক ইভেন।

এদিকে ঘুষ নেওয়ার ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন ইভেন। এ ঘটনায় জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে (সদর সার্কেল) তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

অভিযোগ ওঠা দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন– কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই আশরাফুল ইসলাম ও সাজ্জাদ হোসেন। জানা যায়, উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের রুহুল আমিন সম্পত্তি নিয়ে বিরোধে প্রতিবেশী খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে সম্প্রতি নোয়াখালী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।

এরপর আদালত ওই জমিতে কোনো ধরনের কাজ করার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন। গত ১৭ জানুয়ারি কোম্পানীগঞ্জ থানা থেকে এ বিষয়ে নোটিশ জারি করা হয়। এরপর গত সোমবার খোরশেদ ওই জমিতে কাজ করতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে ৯৯৯-এ কল পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বাদীর দুই ছেলে, বিবাদীসহ চারজনকে আটক করেন এসআই আশরাফুল ইসলাম। মঙ্গলবার সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।

খোরশেদের স্বজন নাইমুল হক ইভান জানান, থানা থেকেই খোরশেদ ও তাঁর পক্ষের রিয়াদকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে এসআই আশরাফুল ৫ হাজার এবং এসআই সাজ্জাদ ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেন। তবে তাদের ছেড়ে না দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত থেকে তাদের জামিন করান তিনি। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর মঙ্গলবার রাতে তাঁর বাড়িতে গিয়ে ১৫ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে যান অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতেও অনুরোধ করেন।

এ বিষয়ে এসআই আশরাফুল ইসলাম বলেন, ঘুষ নেওয়ার তথ্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এসআই সাজ্জাদ বলেন, ১৪৪ ধারা জারি করা জমিতে নির্মাণকাজের তথ্য পেয়ে ঘটনাস্থল যান। কোনো টাকাপয়সা নেওয়া বা ফেরত দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি প্রণব চৌধুরী বলেন, ঘুষ গ্রহণ ও ফেরত দেওয়ার ঘটনায় পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়ায় কথা শুনেছি। বিস্তারিত জানি না। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. ইব্রাহিম বলেন, পুলিশ সুপার অসুস্থ থাকায় অভিযোগটি আমি গ্রহণ করে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছি।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।