প্রচ্ছদ জাতীয় ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিকে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালনের তাগিদ

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিকে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালনের তাগিদ

জাতীয় সংসদে কার্যকর বিরোধী দল না থাকায় সংসদের বাইরে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও সমমনা নাগরিক সংগঠনগুলোকে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালনের তাগিদ দিয়েছেন কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।

নির্মূল কমিটির ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার ঢাকায় জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ তাগিদ দেন।

শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘জবাবদিহির জায়গা না থাকলে সরকারের স্বেচ্ছাচারিতা বাড়বে। এটা স্বতঃসিদ্ধ বিষয়। কোনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যা কাম্য হতে পারে না।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে এবারই প্রথম জাতীয় সংসদ সম্পূর্ণভাবে রাজাকারমুক্ত হয়েছে, এমনটা উল্লেখ করে শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘আগামী দিনগুলোতে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের জন্য পাকিস্তানি হাইকমান্ড ও জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন ঘাতক সংগঠনের বিচারের ডাক দিতে হবে। একই সঙ্গে ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানে বর্ণিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলন নির্মূল কমিটিকে অব্যাহত রাখতে হবে।’

এ সময় সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, যে কাজগুলো করলে দেশ ও দশের উন্নতি হয় এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়িত হয় তা তরুণ প্রজন্মকে করতে হবে।

বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সভাপতি চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলন বাংলাদেশের রাজনীতির সমীকরণ পাল্টে দিয়েছে। চাইলেই এখন কেউ যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে রাজনীতি করতে পারবে না।’

শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত চক্র দেশকে পিছিয়ে দেবার জন্য, উন্নতি ব্যাহত করার জন্য যা কিছু দরকার সব চালিয়ে যাচ্ছে। দেশ ও জাতিবিরোধী এসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে হবে।’

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আইটি সেলের সভাপতি আসিফ মুনীর বলেন, যোগাযোগ, প্রযুক্তি, অর্থনৈতিক, ব্যবসায়িক অবকাঠামোর উন্নতি হচ্ছে, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বধ্যভূমি, নিদর্শন সংরক্ষণের অবকাঠামো বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এইসব ক্ষেত্রে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও কার্যক্রমে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

আলোচনা সভার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আইটি সেলের সদস্যসচিব মুক্তিযুদ্ধ গবেষক তপন পালিত। তিনি বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানের আলোকে অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ রাষ্ট্র যত দিন না প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, তত দিন নির্মূল কমিটির আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

নির্মূল কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক অভিনয়শিল্পী শমী কায়সার বলেন, ‘বর্তমান তরুণ প্রজন্মের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, শহীদদের আত্মত্যাগ সম্পর্কে জ্ঞানের অভাব রয়েছে। এখনো আমরা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন কনটেন্ট, নাটক তৈরি করতে পারিনি। মুক্তিযুদ্ধের কাহিনিনির্ভর বিভিন্ন কনটেন্ট তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার ও প্রসার বাড়াতে হবে যেন তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ সম্পর্কে জানতে পারে।’

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।