দেশজুড়ে : গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার ওসি গোপনে বিয়ে করে দ্বিতীয় স্ত্রীকে রেখেছিলেন একটি রিসোর্টে। সেখানে তাদের বিবাদের জেরে দ্বিতীয় স্ত্রীর অভিযোগে পুলিশ তাকে আটক করে।।
আটকের পর বৃহস্পতিবার তাকে প্রত্যাহার করে গাজীপুর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে একটি তদন্ত কমিটি।
প্রত্যাহার সৈয়দ মিজানুর ইসলাম গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার ওসি হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা, নির্বাচনের আগে দেশের বিভিন্ন থানার ওসিদের একযোগে বদলির আদেশ দেন নির্বাচন কমিশন। ওই সময় সৈয়দ মিজানুর ইসলাম মানিকগঞ্জ সদর থানা থেকে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানায় বদলি হয়ে আসেন। এর তিন-চার মাস আগে তিনি প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। নতুন কর্মস্থলে আসার পর নতুন বাসা ভাড়া না নিয়ে তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় গ্রিন শালবন নামের একটি রিসোর্টে নিয়ে রাখেন।
গত বুধবার রাতে ওসি মিজানুর ও তার দ্বিতীয় স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে তিনি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই রিসোর্ট থেকে তাকে আটক করে গাজীপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় পুলিশ সুপার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, একজন ওসি হিসাবে প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করে গোপন করে রেখেছেন, যা অনৈতিক। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতেই তাকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
জয়দেবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম বলেন, মৌখিকভাবে শুনেছি তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ওসির মোবাইলও এখন আমার কাছে। তবে কোনো কাগজপত্র পাইনি।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার কাজী সফিকুল আলম বলেন, একটা ঘটনা ঘটেছে সেটি তদন্ত করে দেখছি কতখানি সত্য। সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |