
ফেনীর পরশুরামের ঐতিহ্যবাহী খন্ডল মিষ্টি ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির অপেক্ষায় রয়েছে।
১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া পরশুরাম সফরে এসে খন্ডল মিষ্টির স্বাদ গ্রহণ করে প্রশংসা করেছিলেন বলে জানান খন্ডল মিষ্টির স্বত্বাধিকারী মো. বেলাল হোসেন।
কবির আহমদের ছেলে বেলাল আহমদ পাটোয়ারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে জিআই স্বীকৃতির জন্য আবেদন করেছেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, খন্ডল হাই বাজারে প্রতিষ্ঠিত ‘খন্ডল পাটোয়ারী মিষ্টি মেলা’ থেকেই মূলত এ মিষ্টির উৎপাদন হয়। গরুর দুধের ছানা, ময়দা ও চিনি দিয়ে ভেজালমুক্ত উপায়ে তৈরি করা হয় মিষ্টি।
মিষ্টি তৈরির প্রক্রিয়ায় ১৭ কেজি দুধ থেকে ২ কেজি ছানা পাওয়া যায়। শুকানো ছানায় সামান্য ময়দা মিশিয়ে মন্ড তৈরি করা হয়। অন্যদিকে ৫ কেজি চিনি ও পানি দিয়ে তৈরি করা সিরায় আধঘণ্টা জ্বাল দিয়ে প্রস্তুত করা হয় খন্ডল মিষ্টি।
গরুর দুধের ছানা থেকে তৈরি এ মিষ্টি মূলত রসগোল্লার ভিন্ন সংস্করণ।
পরশুরাম উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের খন্ডল হাই বাজারে প্রথম তৈরি হয় সুস্বাদু এই মিষ্টি। সত্তরের দশকে কবির আহমদ পাটোয়ারী ও মিষ্টির কারিগর যোগল চন্দ্র দাসের হাত ধরে শুরু হয় এর যাত্রা। বাজারের নামেই মিষ্টির নামকরণ করা হয় ‘খন্ডল মিষ্টি’। বর্তমানে দেশ-বিদেশে এ মিষ্টির সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে।
নব্বইয়ের দশক থেকেই দেশব্যাপী এর সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। তবে বর্তমানে খন্ডল মিষ্টির নামে নানা স্থানে নকল মিষ্টি বিক্রি হওয়ায় ঐতিহ্য হুমকির মুখে পড়েছে। বেলাল হোসেন মনে করেন, জিআই স্বীকৃতি পেলে এই ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।
ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী খন্ডল মিষ্টির জিআই স্বীকৃতির জন্য আমরা মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। একটি ভালো পণ্য একটি স্থানকে টিকিয়ে রাখে। পাশাপাশি পরশুরামের আখের গুড়কেও জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন।’













































